বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে মানুষের অধিকার থাকে না। তখন মগের মুল্লুক হয়ে যায়, যা খুশি তাই করা যায়।
সেজন্য এ শাসন ব্যবস্থাকে উল্টে দিতে হবে, পরিবর্তন করতে হবে। আমরা এখন একটা অন্ধকার যুগে বাস করছি। এ অন্ধকার থেকে দেশকে সভ্যতায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
শনিবার (২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচতলায় জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুলসহ দলীয় নেতাকর্মীদের আশু রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি, গণতন্ত্র, স্বাধীনতার মুক্তির দাবি করছি। আমাদের চাওয়ার সবচাইতে বড় জায়গা হচ্ছে মহান রাব্বুল আলামিন। তার কাছে আমরা চাইবো। কিসের জন্য চাইবো? গণতন্ত্র, স্বাধীনতার মুক্তি চাইবো। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ যারা অসুস্থ আছেন তাদের রোগ মুক্তি চাইবো।
কৃষকদলের সাবেক এ আহ্বায়ক বলেন, দেশে এত পরিমাণ দুর্নীতি, হামলা, মামলা অত্যাচার চলছে যে এর আগে কোনোদিন এ রকম হয়নি।
সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে জানিয়ে ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, মহান আল্লাহ বলেছেন- তোমরা করো, দেওয়ার মালিক আমি। মহান আল্লাহ সবসময় উদ্যোগীদের সঙ্গে থাকেন। তাই আমাদের উদ্যোগী হতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাস্তায় নামতে হবে। তাহলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
দুদু বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ জিয়াউর রহমান কোনো দল করতেন না। যে ১১ জন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তারা কোনো দল করতেন না। সামরিক বাহিনী থেকে এসে তারা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। ওই রকম আজকে বাংলাদেশে দল করতে হবে এমন কোনো বিষয় নয়। বাংলাদেশের সবাইকে এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে সেটা হচ্ছে গণতন্ত্রের স্বপক্ষে। গণতন্ত্র না থাকলে দুর্নীতি হয়, গণতন্ত্র না থাকলে হামলা মামলা নির্যাতন হয়। গণতন্ত্র না থাকলে লুটপাট হয়। গণতন্ত্র না থাকলে মানুষের অধিকার থাকে না। মানুষের অধিকার না থাকলে যা খুশী করা যায়।
তিনি বলেন, অতীতে যেমন শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়া দেশকে অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরিয়ে এনেছিলেন তেমনি বর্তমানে তারেক রহমানের নির্দেশে অন্ধকার থেকে এ দেশ ও জাতিকে আলোয় ফিরিয়ে আনতে হবে।
সংগঠনের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মাদ নেছারুল হকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী সেলিম রেজা, কৃষকদলের সাবেক নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার, ওলামা দলের নেতা শাহ মোহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।