ডমিনিকায় বার বার বৃষ্টিতে শেষ রক্ষা হলো না বাংলাদেশ-উইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের। তিন দফা বৃষ্টিতে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বাতিলের ঘোষণা আসে দুই অধিনায়ক ও আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে। আগামীকাল রোববার একই মাঠে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
বৃষ্টি বিঘ্নিত কার্টেল ওভারের ম্যাচে দ্রুত রান তোলার তাড়া। ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে ১৬ ওভারের ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশেরও তাই হয়েছে। প্রথম পাওয়ার-প্লে’তে রানও এসেছে আশানুরূপ।
প্রথম পাঁচ ওভারে দুইটা উইকেট হারালেও এসেছিল ৪৬ রান। যা গত এক বছরে যে কয়টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ তার মধ্যে সর্বোচ্চ রান। শুরুটা যেমন হয়েছিল বাংলাদেশের, শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১০৫ রানে শেষ করেছে ইনিংস। দুই দফায় বৃষ্টিতে ম্যাচ নেমে আসে ১৪ ওভারে।
ওপেনার মুনিম শাহারিয়ার (২) ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই আকিল হোসেনের বলে ক্যাচ তুলে দেন ডেভন টমাসের গ্লাভসে। দীর্ঘ ৭ বছর পর দলে ফেরা এনামুল হক বিজয়ের শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। তবে টিকতে পারেননি বেশীক্ষণ। ১০ বলে ৩ চারে মাত্র ১৬ রান করে ওবেদ ম্যাককয়ের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন সাজঘরে।
সাকিব শুরু থেকেই দ্রুত রান তোলায় ব্যস্ত ছিলেন। চার-ছক্কার পসরা শুরু করলে থামিয়ে দেন হেইডেন ওয়ালশ। ১৫ বলে সমান দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৯ রান করে ক্যাচ দেন টমাসের হাতে।
সাকিবের বিদায়ের পর থেমে যায় রানের চাকা। লিটন দাস ১৪ বলে ৯ রান করে ফেরেন শেফার্ডের বলে ক্যাচ দিয়ে। এরপর ৭ ওভার ৪ বলের মাথায় নামে বৃষ্টি।
বৃষ্টি শেষে কমানো হয় আরও ২ ওভার। খেলা শুরু হতেই আফিফ হোসেনকে শূন্য রানে বিদায় করেন ওয়ালশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট হাসেনি। ৮ রান করতে খেলেছেন ১৩ বল।
৭৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে মান বাঁচায় দলের। শেখ মেহেদী ১ রানে ফিরলেও সোহান ১৬ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন ওডেন স্মিথের বলে ব্র্যান্ডন কিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
তবে ১৩তম ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ যখন ৮ উইকেটে ১০৫ রান, তখন আবারও নামে বৃষ্টি। মাঠ খেলার উপযুক্ত হলেও সময় স্বল্পতায় ম্যাচ বাতিলের ঘোষণা আসে।