করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। নিয়ন্ত্রণ মাত্রা ছাপিয়ে শনাক্তের হার এখন ১৫ শতাংশ। তবু বিস্তার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেই জনজীবনে। স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বেশিরভাগ মানুষ। উদাসীনতা করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এজন্য প্রয়োজনে আবারও কঠোর হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
কর্মব্যস্ত জনজীবন। দেখে বোঝার উপায় নেই বিশ্বজুড়ে চলা মহামারী এখনো থামেনি। মাস্ক নেই বেশিরভাগের। প্রয়োজনীয়তাও দেখেননা কেউ কেউ। জনবহুল শহরে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাতো এমনিতেও দুরহ। হাসপাতালে সেবাগ্রহীতাদের চিত্রও একই রকম। প্রায় সব হাসপাতালেই আছে করোনা ইউনিট। তবু অনেকের মাথায় সে ভাবনা নেই। মাস্ক বা স্বাস্থ্যবিধি পালন কেবল ইচ্ছার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইন. হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক বলেন, যে রোগ যেমন তাকে সেভাবে সামাল দিয়তে হয়। রোগ যদি মশাবাহিত হয় তবে মশা দমন করতে হয় আর যদি রোগ শ্বাসনালীর রোগ হয় তবে শ্বাসনালীকে প্রতিরক্ষার মধ্যে রাখতে হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া এ মুহূর্তে আমাদের কোনো কিছুই কার্যকর হবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনায় জটিল পরিস্থিতি এড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে ভ্যাকসিন। কিন্তু করোনা নির্মূলের ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি। তাই সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি এড়ানোর সুযোগ নেই।