কমে গেছে ঢাকা-বরিশাল রুটের বিলাসবহুল লঞ্চের যাত্রী। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম নিয়েও যাত্রী পাচ্ছে না লঞ্চগুলো। প্রতিদিন ঢাকা-বরিশাল উভয় প্রান্তে ৫০ থেকে ৬৫ শতাংশ কেবিনই খালি থাকছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতুর প্রভাব পড়েছে নৌ রুটে। যদিও মালিকদের আশা, শিগগিরই স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই যাত্রী খরা ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে। সারা বছর লঞ্চের যে কেবিন নিয়ে যাত্রীদের কাড়াকাড়ি সেই কেবিনের অর্ধেকই খালি থাকছে। ৩শ টাকার ডেকের ভাড়া ২শ এবং কেবিনের ভাড়া থেকে থেকেও কমানো হয়েছে ৪শ টাকা। তবু পাওয়া যাচ্ছে না যাত্রী। বরিশাল নদী বন্দরে প্রবেশ মুখের শুল্ক প্রহরী খলিলুর রহমান জানালেন, গত মঙ্গলবার রাতে এমভি পারাবতের দুটি লঞ্চ ঢাকায় যাত্রার কথা থাকলেও যাত্রী সংকটে বাতিল হয় একটি।
যাত্রীরা বলছেন, লঞ্চ ভ্রমণ আরামদায়ক তবে ভাড়া কমালেই মানুষ লঞ্চযাত্রায় আগ্রহী হবে। বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির নেতা সাইদুর রহমান রিন্টু বলছেন, দুয়েক মাসের মধ্যে যাত্রীরা আবারও লঞ্চমুখী হবে এমনটাই আশা তাদের।
ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলের জন্য ২৪টি লঞ্চের অনুমোদন রয়েছে। তবে রোটেশনের মাধ্যমে দুই প্রান্ত থেকে ৬টি করে লঞ্চ পরিচালনা করছে মালিক পক্ষ।