চড়া মূল্যের কারণে কোরবানির পশু কিনতে পারছেন না সাধারণ পাকিস্তানিরা। ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখছে দেশটি। মে মাসের শেষ নাগাদ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে জ্বালানির দাম। ফলে লাফিয়ে বাড়ছে পশু পরিবহনের খরচও। বিক্রেতারাও বলছেন, লোকসানে ছাড়তে হচ্ছে গৃহপালিত পশুকে।
জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদুল আজহার বাকি মাত্র এক সপ্তাহ। অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো পাকিস্তানেও বসেছে কোরবানির পশুর হাট। নজর কেড়েছে বেশ কয়েকটি গরু-ছাগলও। কিন্তু চড়ামূল্যের কারণে ক্রয়ক্ষমতা সাধারণ পাকিস্তানিদের নাগালের বাইরে।
দেশটিতে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি। যে কারণে, জ্বালানি-বিদ্যুতের মতো সেবার পাশাপাশি ঊর্ধ্বমুখী নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। অর্থনৈতিক সংকটে হাঁসফাঁস করতে থাকা পাকিস্তানিরা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে কোরবানি দেয়াটাও কষ্টসাধ্য।
মোহাম্মদ ফরিদ নামে একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে কোরবানির পশুর চড়া মূল্য। পাশাপাশি, মুদ্রাস্ফীতিও বাড়ছে রকেট গতিতে। নিজের সামর্থ্য অনুসারে, কোরবানির জন্য পশু কেনাটা কষ্টকর। যা বরাদ্দ, তাতে ছোটখাটো গরু বা ছাগল কেনা সম্ভব।
বিক্রেতারাও বলছেন, জ্বালানি খরচ মিটিয়ে হাট পর্যন্ত পশু আনতেই তারা হিমশিম খাচ্ছেন। এ অবস্থায়, চড়া মূল্য না হাঁকলে পোষাতে পারবেন না ব্যয়ভার।
পশু বিক্রেতা ওমর ফারুক বলেন, চলতি বছর গবাদি পশু বিক্রি করতেও আমরা ভোগান্তি পোহাচ্ছি। পেট্রোল-ডিজেলের দাম উর্ধ্বমুখী হওয়ায়, হাট পর্যন্ত পশুগুলো আনতেই অনেক খরচ হচ্ছে। গেলো বছরও যে গরুটি দুই-আড়াই লাখে বিক্রি করেছি। এবার, সেটির দাম সাড়ে ৪ লাখ রাখতে হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি আর অর্থনৈতিক সংকটের কারণেই বাড়তি এই দাম।
প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কার মতোই দ্রুত হারে কমছে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ফেব্রুয়ারি মাসেও, সঞ্চয় ছিল প্রায় ১৬শ’ কোটি মার্কিন ডলার। জুনের প্রথম সপ্তাহেই সেটি নেমে এসেছে হাজার কোটি ডলারের নিচে। হাতে থাকা অর্থ দিয়ে আগামী দু’মাসের পণ্য আমদানির খরচ মেটানো সম্ভব