এবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, আলেম ও ‘রাজবন্দীদের’ মুক্তির দাবিতে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের একটা মাত্র দাবি, দুই দিনের মধ্যে সব আলেম ও খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক কর্মীদের জামিনে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় ১০ হাজার লোক নিয়ে হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘চিন্তা করেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) গাড়ি সামনে, পরে খালেদা জিয়ার গাড়ি, আর তার পেছনে তিন মুক্তিযোদ্ধা দাঁড়ায়া থাকবে। আস্তে আস্তে যাবো। এখনও সময় আছে, অন্যদিকে পয়সা খরচ না করে এক পূর্ণিমার রাতে চলেন না যাই! এইটাই হবে বাংলাদেশ। তার আগে মুক্তি দিতে হবে… এনাদেরও নিয়ে যাই।’
গতকাল রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘হয়রানিমূলক মামলায় রাজবন্দী ও ধর্মীয় নেতাদের দীর্ঘ কারাবাস: নাগরিক সমাজের উদ্বেগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, রাজবন্দীদের জামিন ছাড়া এবার হাইকোর্টে কোনো ঈদের জামায়াত হবে না।
কারাবন্দি হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ আলেম ওলামাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, মামুনুল হকের আইনি অধিকার রয়েছে। তার পরিবারকে গত ১৫ মাসে একবার দেখা করতে দেওয়া হয়েছে। মামুনুল হকসহ অন্য আলেমদের তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়া জালেমের কাজ।
এসময় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমি আলেম- ওলামাদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। এই মুক্তির জন্য লড়াইকে যতোদূর নেওয়া উচিত আমি ততোদূর পর্যন্ত যেতেও রাজি আছি।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমার দৃষ্টি সরকার সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু আমাদের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি না থাকার কারণে তারা রিলাক্সে পার পেয়ে যাচ্ছে।