দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৩৫ রানে হারিয়েছে উইন্ডিজ। ১৯৪ রানের টার্গেটে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৮ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ব্যাট হাতে লড়ে যান সাকিব আল হাসান। তুলে নেন ক্যারিয়ারের দশম অর্ধশতক। তবে শেষ পর্যন্ত এড়াতে পারেননি দলের হার। এই জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
ডমিনিকায় রৌদ্রজ্জ্বল দিনে তাসকিনের উদ্বোধনী ওভারেই ঝড় তোলেন কাইল মায়ার্স। ওঠে ১৩ রান। দীর্ঘদিন পর ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরে আসাটা মোটেও সুখকর হয়নি তাসকিনের। অফস্পিনার মাহদী হাসানের বলেই থামে মায়ার্স ঝড়।
রানের খাতা খোলার আগেই সাকিবের বলে মাহমুদুল্লাহ’র হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন সামরাহ ব্রুকস।
এরপরে তৃতীয় উইকেটে ব্র্যান্ডন কিং ও নিকোলাস পুরাণের মহাকাব্যিক জুটি। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে টাইগার বোলারদের শাসন করেন এই দুই ব্যাটার। ১৩তম ওভারে মোসাদ্দেক সৈকতকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে নিকোলাস পুরাণকে আউট করে ভাঙেন ৭৪ রানের পার্টনারশিপ।
এরপরে কেবল রোভম্যান পাওয়েল শো। দুই চার ও ৬ ছক্কায় ২৮ বলে খেলেন ৬১ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস। আর ব্র্যান্ডন কিং’র ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান। শেষ ৫ ওভারে স্বাগতিকদের ৭৪ রান উপহার দেয় বাংলাদেশ। ৪০ রানে ২ উইকেট নিয়ে টাইগারদের সেরা বোলার শরীফুল। তবে মেইডন-উইকেট পাওয়া মোসাদ্দেককে দিয়ে কেন বল করাননি অধিনায়ক সেটাই প্রশ্ন হয়ে থাকলো গোটা ম্যাচে।
১৯৪ রানের লক্ষ্যে ম্যাকয়ের টানা ২ বলে লিটন-বিজয়ের বিদায়ের সাথে সাথে ম্যাচের গতিপথও যেন নিশ্চিত হয়ে যায়। টানা ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা মাহমুদউল্লাহ আরও একবার পথহারা।
ব্যাট হাতে একা লড়ে যান সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তুলে নেন ১০ম অর্ধশতক। ৬৮ রানে অপরাজিত থাকলেও যোগ্য সঙ্গ না পাওয়ায় এড়াতে পারেননি দলের হার।