ডমিনিকা যাওয়ার পথে অসুস্থ হওয়াকে স্বাভাবিক মানলেও, ক্রিকেটারদের প্রকাশভঙ্গীতে নাখোশ বিসিবি’র প্রভাবশালী পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। বলেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করতে ক্রিকেটাররা অনেক সময় নেয়, যা থেকে প্রমাণ হয় দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে গলদ আছে।
মাঠে যারা খেলেন হরহামেশাই তাদের লড়তে হয় বিরুদ্ধ পরিস্থিতির সাথে। চ্যালেঞ্জ আর লড়াই তাই তো তাদের জীবনের অংশ। সমুদ্র পথে সেন্ট লুসিয়া থেকে ডমিনিকা যাওয়ার পথে সমুদ্রে এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় টাইগারদের। উত্তাল সমুদ্রে মোসন সিকনেসে পেয়ে বসে শরিফুল-মুনিমদের। প্রশ্ন ওঠে বিসিবির পেশাদারিত্ব নিয়ে। কিন্তু টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ প্রশ্ন তুলেছেন অন্য কিছু নিয়ে।
তিনি বলেন, আমাদের ছেলেরা এই পরিবেশে অভ্যস্থ না। খারাপ লেগেছে। এটাই স্বাভাবিক। তবে এমন না যে কেউ মরে যাচ্ছে। এমন কিছু তো ঘটেনি যে, তারা ডুবে যাচ্ছে। এমন কিছু ঘটলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডও চাইতো না যে ক্রিকেট টিম সেখানে যাক। এরকম একটি জায়গায় যখন বিসিবির ওপর বদনাম চলে আসে, সেটি খুবই দুঃখজনক।
আটলান্টিকের উত্তাল ঢেউ যেমন কাঠগড়ায় তুলেছে বিসিবিকে ক্রিকেটারদের মানসিকতাকে তেমনি প্রশ্ন আছে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়েও। ঘরে সেরা পারফর্ম করা ক্রিকেটারকেই খেই হারিয়ে ফেলছেন আন্তর্জাতিক সার্কিটে।
উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে তামিম ইকবাল না থাকায়, সামনের বিশ্বকাপেও যে তার আর সম্ভাবনা থাকলো না সেটাও পরিষ্কার করেছেন টাইগারদের টিম ডিরেক্টর।