সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেছেন, অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন দেখতে চায়।
রোববার (৩ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ওইসিডিভুক্ত ১৪টি দেশের কূটনৈতিকদের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ওই বৈঠকের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাইকমিশন।
নাথালি চুয়ার্ড বলেন, ওইসিডির সদস্য দেশগুলো গণতান্ত্রিক ধারাকে আরও শানিত করার মধ্যদিয়ে নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সহায়তা করতে চায়।
তিনি বলেন, নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে, দেশের গণতন্ত্র আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করতে, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিতে সহায়ক অবস্থা তৈরি করতে হবে। এ সময় সব অংশীজনের যথাযথ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দেশগুলো নির্বাচন কমিশনকে যেকোনো প্রকার সহযোগিতা দিতে তারা প্রস্তুত বলে জানান।
বৈঠকে ওসিডির ১৫ সদস্যের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ছিলেন ১৪ জন। তারা হলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস, কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকোলস, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতউ ইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ফ্রান্সের সহকারী রাষ্ট্রদূত গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিটেজ সালাস, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তোরান এবং জাপানের ডেপুটি হেড অব মিশন ইয়ামায়া হিরোয়ুকি।
এ ছাড়াও বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), বেগম রাশেদা সুলতানাসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সিইসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত।