কুষ্টিয়ায় ভাবিকে হত্যার দায়ে দেবরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদিকে অপর একটি অস্ত্র মামলায় এক জনকে ১০ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (এক) বিচারক মো. তাজুল ইসলাম পৃথক এ দুটি মামলার রায় প্রদান করেন। কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌশুলী (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী পৃথক এ দুটি রায়ের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
আদালত ভাবি রওশনাকে (৪০) হত্যার দায়ে দেবর দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম চর রামকৃষ্ণপুর ৮ নম্বর এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে শুকুর মালিথাকে দন্ডবিধির ১৯৬০ এর ৩০২/৩৪ ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়াও তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারদন্ডপ্রাপ্ত আসামি শুকুর মালিথা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত এবং এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম চর রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল জলিল চৌকিদারের স্ত্রী রওশনা ২০১৩ সালে ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির উঠানে মাটির গর্ত করার সময় দেবর শুকুর মালিথা পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাবি রওশনাকে কোদাল দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পরেন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত রওশনার ভাই আলী আজগর বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফয়সাল হোসেন ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর আদালতে মামলার চার্জশিট প্রদান করেন। এর পর আদালত সোমবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে।
অপরদিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার পৃথক একটি অস্ত্র মামলায় একই আদালত এক আসামির ১০ বছরের কারাদন্ড এবং অপর একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন।
কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামী হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চিথুলিয়া বাজারপাড়া গ্রামের আকবার মালিথার ছেলে তাজুব্বর মালিথা। রায় ঘোষনার সময় উক্ত আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।