আপনি যাকে ভালোবাসেন, তাকে জীবনসঙ্গী করার চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে? আপনি শুনে থাকবেন, ভালোবেসে বিয়ে করে সারা জীবন সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করছেন অনেকে। আর তা শুনে আপনার মনে আসতে পারে, যার সঙ্গে আপনি প্রেম করছেন, সে কি স্ত্রী বা জীবনসঙ্গী হবে? শুধু তা-ই নয়, এমনও হতে পারে বিয়ে করবেন বলেই আপনি তার সঙ্গে প্রেম করছেন।
আপনি নিজেকে এই প্রশ্নগুলো করতে পারেন—প্রেমিকা কি আপনার প্রতি যত্নবান? আপনি ও আপনার পরিবারকে সে কি সম্মান করে? নিঃশর্তভাবে ভালোবাসা ও স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকে? যদি, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ইতিবাচক হয়, তবে প্রেমিকাকে আপনি বিয়ে করতে পারেন।
ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই এক প্রতিবেদনে এমন ১০ লক্ষণের কথা প্রকাশ করেছে, যা প্রেমিকাকে বিয়ের সিদ্ধান্তে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আসুন, আমরা সেই লক্ষণগুলো এক ঝলকে জেনে নিই—
সব সময় আপনাকে সমর্থন করে
যদি আপনার প্রেমিকা আপনাকে খুব ভালোবাসে আর আপনার সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখে, তাহলে নিঃসন্দেহে তাকে আপনি বিয়ে করতে পারেন। যদি কেউ আপনাকে সমর্থন না করে, আপনাকে ব্যর্থ ভাবে, কিন্তু আপনার প্রেমিকা সহায়ক ভূমিকা রাখে, তবে আপনি তাকে বিয়ে করতে পারেন। এতে আপনার লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে।
আপনার ওপর আস্থা আছে
সম্পর্কে দুজন দুজনের ওপর আস্থা থাকা জরুরি। এর ওপরই নির্ভর করে আপনাদের সম্পর্ক শক্তিশালী কি না। যদি আপনার প্রেমিকা আপনার ওপর আস্থা রাখে এবং বিশ্বাস করে, আপনিই তাঁর একমাত্র জন, তাহলে এটা পরিষ্কার লক্ষণ যে আপনি তাকে বিয়ে করতে পারেন। লোকে কী বলল, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আপনার প্রেমিকার আস্থা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার প্রচেষ্টার প্রশংসা করে
প্রেমিকা যদি আপনার প্রচেষ্টার মূল্যায়ন করে এবং স্বাগত জানায়, তাহলে আপনি তাকে বিয়ে করতে পারেন। সে জানে, আপনি শুধু উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কঠোর পরিশ্রমই করছেন না, সম্পর্ক শক্তিশালী করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন এবং সে যদি আপনার প্রচেষ্টার ব্যাপারে কোনোপ্রকার অভিযোগ না করে, তবে বিয়ের জন্য এগোন।
আপনার বন্ধুকে সে বন্ধু মনে করে
আপনার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে যদি প্রেমিকার দৃঢ় বন্ধন থাকে এবং তাদের সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ আচরণ করে, তাহলে আপনি যে সঠিক পথে আছেন, এটা তার লক্ষণ। আপনার সব বন্ধুর নাম সে যদি জানে এবং ঘনিষ্ঠ হয়; এমনকি যদি আপনি কিছু পাগলামিও করেন আর সে কখনো তার বিচার করে না, তাহলে আপনি সঠিক পথেই আছেন।
আপনার লক্ষ্য অর্জনে উৎসাহ দেয়
সম্পর্কের ক্ষেত্রে একে অন্যকে সম্মান করাটা জরুরি। লক্ষ্য অর্জনে আপনার প্রেমিকা যদি নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে, তবে আপনি তাকে বিয়ে করতে পারেন। তাহলে নিজের সাধ্যমতো সে আপনার লক্ষ্য পূরণে ভূমিকা রাখবে। এর মানে দাঁড়ায়, সে আপনাকে ভালোবাসে এবং আপনার লক্ষ্য পূরণ হোক, সেটা চায়।
আপনার প্রতি সত্যিই যত্নবান
আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে যদি প্রেমিকা সব সময় সচেতন থাকে, এর মানে দাঁড়ায় সে যত্নবান। এমন মানুষকেই তো আপনি জীবনসঙ্গী করবেন। আপনার মা যেমন আপনার যত্ন নেয়, তেমনই আপনার প্রেমিকা যত্নশীল। সে নিশ্চিত করবে, আপনার খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো হচ্ছে কি না এবং আপনার সব বিষয়েই সে সচেতন থাকবে।
আপনাকে সর্বদা হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করে
আপনি নিশ্চয়ই এমন কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চান, যে আপনাকে সব সময় খুশি করার চেষ্টা করবে। আপনার প্রিয় বা অপ্রিয় সম্পর্কে জানবে। এবং মাঝেমধ্যে আপনাকে অবাক করে দেবে, সে হোক প্রিয় খাবার অথবা আপনার পোশাক। এই লক্ষণ যদি দেখেন, তবে তাকে জীবনসঙ্গী করুন। এতে আপনি সুখী ও চাপমুক্ত থাকবেন।
আপনাকে নিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে
যদি প্রেমিকা আপনাকে নিয়ে ভবিষ্যতের কথা ভাবে, তাহলে এটা স্বচ্ছ লক্ষণ। আপনার উচিত তাকে জীবনসঙ্গী করা। তার কাছ থেকে যদি কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা শোনেন আর সেখানে আপনিও যুক্ত, তবে আপনার এগোনো উচিত। ধরা যাক, সে অর্থ সঞ্চয় করছে আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য। সেই অর্থ দিয়ে একটি বাড়ির স্বপ্ন দেখে সে। অথবা নিজের ক্যারিয়ার এমনভাবে গড়তে চাইছে, যাতে আপনারা দুজনই সুখী থাকেন। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, সে আপনাকে একটি সুন্দর ও সুখী জীবন দিতে চায়।
আপনার পরিবারকে পছন্দ করে
আপনি যাকে বিয়ে করবেন, সে যদি আপনার পরিবারের সদস্যদের পছন্দ করে এবং যথাযথ সম্মান দেয়, তাহলে বুঝবেন আপনার সঠিক জীবনসঙ্গী সে।
আপনাকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়
যদি আপনার প্রেমিকা আপনাকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, তার মানে সে-ই আপনার খাঁটি সঙ্গী। আপনার জীবনযাপন সে বদলাতে চায়, বাজে অভ্যাস পরিত্যাগে সাহায্য করে এবং সব সময় ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে, এমন গুণ থাকা জরুরি। আর যদি এসব লক্ষণ প্রেমিকার মধ্যে দেখতে পান, তবে তাঁকে জীবনসঙ্গী করুন।