দ্বিতীয় পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করতে চায় জাপান। আর রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প সফল হলে দ্বিতীয়টি তৈরিতে আগ্রহ আছে দেশটির। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করতে চায় জাপান। চলতি বছর শীর্ষ নেতাদের সফরে রূপরেখা চূড়ান্ত হবে বলে আশাবাদী পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
দেশের অনেক অবকাঠামো নির্মাণে পাশে থাকলেও বিশ্বব্যাংকের পথ ধরে জাপান সরে গিয়েছিল পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে। পদ্মার ওপর আরেকটি সেতু হলে তাতে অর্থায়নে আগ্রহী দেশটি। ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, আমরা অবশ্যই রাজি, যদি বাংলাদেশ চায়। বাংলাদেশে বড় অবকাঠামো তৈরিতে জাপানের অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই।
কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন করছে জাপান। উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা মেট্রোরেলের অর্থায়নেও যুক্ত তারা। রূপপুরে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে রাশিয়া। এরই মধ্যে দ্বিতীয়টির ঘোষণা দিয়েছেন সরকার প্রধান। তার অর্থায়নের প্রসঙ্গ তুলে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নেয়ার কথা জানান জাপানি দূত। ইতো নাওকি বলেন, আমরা প্রথম পরমাণু প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করছি। বাংলাদেশ এ কাজে জাপানকে চাইলে নিশ্চয়ই তা বিবেচনা করা হবে। আমাদের সম্পর্ক জোরালো হচ্ছে। দ্রুতই এটি কৌশলগত সম্পর্কে পৌঁছাবে।
ব্যবসা বাণিজ্যে বিনিয়োগের পাশাপাশি রাজনৈতিক যোগাযোগও বেড়েছে জাপানের সাথে। সব ঠিকঠাক থাকলে এ বছরই টোকিও সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা করা হচ্ছে, সেখান থেকেই শুরু হবে কৌশলগত সম্পর্কের পথচলা।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, আশা করা যাচ্ছে চলতি বছরেই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৫০ বছর বা তার বেশি সময়কে বিবেচনা করে জাপানের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কীভাবে কৌশলগত জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়, সেই বৈঠকেই তার ভিত্তি তৈরি করা সম্ভব হতে পারে। পাশাপাশি, অর্থনৈতিক ইন্দো-প্যাসিফিকে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও কোয়াডে না যাওয়ার ইঙ্গিত দেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি জানান, নিরাপত্তা বিষয়ক এই জোটে যোগদানের ব্যাপারে কিছুটা অনীহা থাকতেই পারে বাংলাদেশের।