ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ না করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছেন।
গত ঈদুল ফিতরে প্রায় ২৫ লাখ মোটরসাইকেল রাস্তায় নামার কারণে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা লক্ষ্য করা গেলেও সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। তাই আপাতত গণপরিবহন সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ না করে এই বাহনটির গতি নির্ধারণ করে দেওয়া, লাগেজ নিয়ে না যাওয়া, পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে চলতে না দেওয়ার পাশাপাশি এই বাহনটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে চলাচলের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।
তাই যানজট তৈরি না হয় এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রেখে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেকিং, চেকিংয়ের নামে অহেতুক কোনো মোটরসাইকেল চালক যাতে হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হয় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে ৩৭ লাখের বেশি মোটরসাইকেল রাস্তায় চলছে। গণপরিবহন সংকট, বাস মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, পদে পদে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, রেলের টিকিট অব্যবস্থাপনা, শিডিউল বিপর্যয়, যানজটসহ নানা কারণে ক্রমেই মানুষ মোটরসাইকেলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই বাহনটি কখনোই গণপরিবহনের বিকল্প হতে পারে না। তবুও পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশের আদলে গণপরিবহনের সংখ্যা কমানোর মধ্য দিয়ে যানজট কমাতে দেশে রাইডশেয়ারিং চালু করা হলেও বাস্তবভিত্তিক নীতিমালা ও মনিটরিংয়ের অভাবে এসব রাইডশেয়ারকারী যানবাহন যানজট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ অবস্থায় দেশের সড়কের তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই বাহনটির নিবন্ধন বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তার আগে গণপরিবহন সংকট সমাধান করা, যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন, যাত্রী হয়রানী বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে বিবৃতিতে বলা হয়।