২০১৫ সালে অপার সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক ঘটেছিল পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের। নিঃসন্দেহেই, এখনও জাতীয় দলের এক নম্বর পেসার হিসেবে বিবেচনা করা হয় মুস্তাফিজকেই। তবে, ক্যারিয়ারের শুরুতে বল হাতে যেভাবে চমক দিয়েছিলেন, ইনজুরিসহ আরও নানা কারণে অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে তার পারফরম্যান্স। বিশেষ করে এশিয়ার মাটিতে ‘দ্য ফিজ’ যতোটা কার্যকর, এশিয়ার বাইরে ততোটাই বিবর্ণ।
শেষ সাড়ে ৩ বছরে বিদেশের মাটিতে বড় দলের বিপক্ষে ১২ ম্যাচে মুস্তাফিজের উইকেট সংখ্যা মোটে ৩। বল হাতে এমন হতশ্রী পারফর্মের আসল কারণ জানেন না মুস্তাফিজ। এ ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে যান তিনি। তবে, এশিয়ার বাইরে খারাপ পারফরম্যান্সের সম্ভাব্য কারণ দেখিয়ে তিনি বলেন, “এশিয়ার উইকেট একরকম, এশিয়ার বাইরের উইকেট আরেক রকম। এশিয়ার বাইরে ট্রু বা ভালো উইকেট থাকে, তারপরও আমি চেষ্টা করি ভালো করার জন্য। এশিয়ার বাইরে অন্য টিমের ১৫০ রান করতে গেলেই অনেক কষ্ট হয়। আর এশিয়ার বাইরে দেখবেন ২০০ রান করলেও সেটা নিরাপদ না। আমার যেটা মনে হয়, এই কারণে ইকোনমিটা বাড়তেও পারে। আমি চেষ্টা করছি এশিয়ার বাইরে কীভাবে ভালো করা যায়।”
ক্যারিয়ারের শুরুতেই যখন তুমুল ফর্মে ছিলেন, তখনই এসেছিল বড় ধাক্কা। ইনজুরিতে পড়ার পর বাঁ কাঁধের টেলিস্কোপ সার্জারি শেষে আগের মুস্তাফিজ যেন অনেকটাই হারিয়ে গেছেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৭ বছর পেরিয়ে গেলও প্রতিনিয়ত খেলা শিখছেন বলেই জানান এই বাঁহাতি পেসার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, অপারেশন করার পড়ে এক-দেড় বছরের মতো আমার ভালো পারফর্ম ছিল না। তারপরও আমি মনে করি, শেখার তো শেষ নাই। প্রতিদিনই উন্নতি করা যায়। আমি চেষ্টা করছি উন্নতি করার জন্য, যেন আরও ভালো ফলাফল করা যায়। ফিটনেস বলেন, কোচের পরামর্শ নেয়া বলেন; আমি শিখছি এখনও।”