বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর তালিকায় দক্ষিণ কোরিয়া অন্যতম। দেশটির বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৬ শতাংশে উঠেছে। ১৯৯৮ সালের পর এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির রেকর্ড। খবর ব্লুমবার্গ’র।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ববাজারে জ্বালানিও খাদ্যশস্যের দাম বাড়ায় বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কোরিয়ায় কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির পরিসংখ্যান সংস্থার অনুমান, আগামী মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। গত জুন মাসে মূল্য বৃদ্ধির চার-পঞ্চমাংশেরও বেশির জন্য দায়ী ছিল শিল্প পণ্যও পরিষেবার দাম।
দেশটিতে পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম বছরে ৩৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে, যা ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিশেষ করে, ডিজেলের দাম ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ, পেট্রল ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ, কেরোসিন ৭২ দশমিক ১ শতাংশ এবং গাড়ির জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বেড়েছে ২৯ দশমিক ১ শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়া তার জ্বালানি চাহিদার জন্য মূলত আমদানির ওপর নির্ভরশীল।
মুদ্রাস্ফীতির উদ্বেগ সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়া সরকার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সংস্থাটি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
ব্যাংক অব কোরিয়া (বিওকে) মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, ‘মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং অন্যান্য কারণে কৃষি পণ্য, গবাদি পশু এবং মৎস্য সম্পদের দাম ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে।’