বাংলাদেশের ক্রিকেটের শুরু থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সঙ্গে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সুসময় কিংবা দুঃসময়, চাইলেই পাওয়া যায় ক্যারিবীয় ক্রিকেটকে। এমনকি করোনা পরবর্তী সময়ে প্রথম দল হিসেবে কোনো পিছুটান ছাড়াই বাংলাদেশ সফরে আসে উইন্ডিজ।
এমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাঝে সম্প্রতি সময়ে ‘ফেরি’ কাণ্ড বিব্রত করছে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে। সেইন্ট লুসিয়ায় টেস্ট সিরিজ শেষ করে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুটি ম্যাচ খেলতে ফেরিতে করে ডমিনিকায় যায় বাংলাদেশ দল। তবে ফেরিতে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। এ সময় কয়েকজনকে বমি করতে দেখা যায়। যদিও একই ফেরিতে করে ডমিনিকার উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের খেলোয়াড়, ব্রডকাস্টারের ক্রু ও ধারাভাষ্যকাররা।
ফেরি যাত্রার সময় সতীর্থদের বাজে অবস্থা দেখে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এ সময় বেশ ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা তাকে। এমন পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থকরাও সমালোচনায় মেতেছিলেন। সবার প্রশ্ন, কেন ফেরিতে করে ডমিনিকা গেল বাংলাদেশ দল আর কেনই বা বিসিবি এমন সিদ্ধান্ত নিলো? এমন পরিস্থিতির প্রায় সপ্তাহখানেক পর জবাব দিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে নিজামউদ্দিন বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বিষয়টা যেভাবে এসেছে আসলে ওরকম ছিল না। আমাদের সঙ্গে যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড যোগাযোগ করে আমরা কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের উদ্বেগ জানিয়েছিলাম। আমাদের দলের এই ধরনের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নেই। এটা আমরা জানিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড জানায়- বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেছে, বিভিন্ন এয়ারলাইনসের বিমান চলাচল সীমিত হয়ে গেছে, খুব ছোট ছোট বিমান এখানে যাতায়াত করে।’
বিসিবি নির্বাহী প্রধান আশ্বাস দিয়েছেন ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি আর হবে না। এ ছাড়া ফেরিকাণ্ডে যাতে উইন্ডিজ ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন না হয় সেদিকেও নজর থাকবে বিসিবির। ‘আমরা অবশ্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব এবং আমাদের কনসার্ন জানাব, যেন ভবিষ্যতে এমন না হয়। আরেকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে- ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় রেখেই ফিউচার ট্যুর প্ল্যান বা এ দলের প্ল্যান করে থাকি।
এক্ষেত্রে বোর্ড টু বোর্ড সুসম্পর্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটা বিষয় হরো আর সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়লাম, এ বিষয়টা ঠিক হবে না বলে আমি মনে করি।’ সেইন্ট লুসিয়া থেকে ফেরিতে ডমিনিকা যাওয়া হলেও ডমিনিকা থেকে বাংলাদেশ দল বিমানযোগে গায়ানা পৌঁছেছে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে।