এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের রুটিন বা সূচি তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাশিয়ার ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন পুরো বিশ্বেরই নাভিশ্বাস অবস্থা। এ অবস্থায় আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্র চালিয়ে রাখা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই, বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের শিডিউল করে দিতে বলা হয়েছে।’
গণভবন থেকে আজ বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) স্থাপিত ইনকিউবেটরের উদ্বোধনকালে প্রধাবমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এ আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর সেন্টারে নির্মিত মাল্টিপারপাস হল, শেখ জামাল ডরমেটরি ও রোজী জামাল ডরমেটরিরও উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় আইসিটি মন্ত্রণালয় প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
চুয়েট প্রান্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, চুয়েট ভিসি, চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্প পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমেরিকা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, ইউরোপ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তার প্রভাবে তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে, সারের দাম বেড়ে যাচ্ছে, খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে, জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাচ্ছে। সে প্রভাব সারা বিশ্বের ওপর পড়েছে, বাংলাদেশের ওপরও পড়েছে। সেগুলো মোকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। করোনা ও যুদ্ধ না হলে আমরা হয়তো আরও এগিয়ে যেতে পারতাম।’