বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ক্ষতি করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র- এমন আশঙ্কা করেছেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে এক বার্তায় তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
চীনা দূতাবাসের ফেসবুক পেজে ‘রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক মিনিট’ শিরোনামে এক ভিডিও বার্তা দেন রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। সেখানে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আনা তথাকথিত ‘শিনজিয়াং-এ জোরপূর্বক শ্রম’ সংক্রান্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্প সংগঠন সম্প্রতি তাদের সদস্যদের চীন থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
এ বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি আরও লক্ষ্য করেছি, সতর্ক বার্তাটি জারি করা হয়েছে সংগঠনটির সঙ্গে কিছু মার্কিন সংস্থার অধিভুক্ত ‘ইন্দো-প্যাসিফিক সুযোগ প্রকল্পের’ দুই প্রতিনিধির একটি বৈঠকের পর।’ চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই তথাকথিত ‘শিনজিয়াংয়ে জোরপূর্বক শ্রম’ সম্পর্কিত অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ’
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ইতিপূর্বে গুয়াংজোতে দায়িত্বরত দুই মার্কিন কূটনীতিক ২০২১ সালে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে শিনজিয়াং এ কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু শিনজিয়াংকে আন্তর্জাতিক শিল্প ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করার এবং উইঘুরদের অসন্তুষ্ট ও অশান্ত করে তুলে চীনা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লেলিয়ে দিতে একটি কার্যকর উপায় হলো তাদের মানবাধিকার নীতিমালাকে আক্রমণ করা।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘স্পষ্টতই, ওয়াশিংটন শিনজিয়াং সম্পর্কে চীনকে কলঙ্কিত এবং অপমান করতে মিথ্যা বলছে। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য চীনকে নিয়ন্ত্রণ করা।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি জনগণ সতর্ক না হলে, এই মিথ্যা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।’