কঠিন এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ক্রমশ চাপ বাড়ছে তার ওপর। কয়েকদিন আগে অনাস্থা ভোটে টিকে যাওয়ার পর এবার তার পদত্যাগ দাবি জোরালো হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। নতুন করে পদত্যাগ করেছেন বাণিজ্য বিষয়ক দূত ডেভিড ডুগাইড। বানফ অ্যান্ড চুচানের এই এমপি এক বিবৃতিতে বলেছেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রীর পদ এখন অস্থিতিশীল। তাই আমি অ্যাঙ্গোলা ও জাম্বিয়া বিষয়ক ফিশারিজ এনভয় এবং ট্রেড এনভয় পদ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অনলাইন বিবিসি বলছে, মন্ত্রীপরিষদের একটি গ্রুপ তাকে বলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করা উচিত। এসব মন্ত্রীর মধ্যে আছেন গ্রান্ড শেপস এবং নতুন চ্যান্সেলর নাদিম জাওয়াহি। ওদিকে মাইকেল গভ এবং কাসি কাওয়ার্তেও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিদায় নেয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট অনুমোদনের নিয়ম পরিবর্তন করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৯২২ কমিটি।
এর পরিবর্তে সোমবার একজন নতুন নির্বাহী বাছাই করা হবে। তারপর তারা নিয়ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ওদিকে বরিস জনসন লিয়াজোঁ কমিটির সামনে উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে বিভিন্ন ইস্যুতে ও সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে তাকে প্রশ্ন করার জন্য এমপিদেরকে সুযোগ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৬ জন মন্ত্রী এবং সহযোগী পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে আছেন চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরের পর পরই এক চিঠিতে পদত্যাগ করেছেন ৫ জন মন্ত্রী। তারা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। পদত্যাগ করে বক্তব্য দিয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তিনি হাউজ অব কমন্সকে বলেছেন যথেষ্ট হয়েছে। জবাবে বরিস জনসন বলেছেন, আগাম নির্বাচন দেয়ার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি। তার অনুগতরা দেখতে পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী তার ম্যান্ডেট পালন করছেন।
উল্লেখ্য, সাবেক ডেপুটি চিপ হুইপ ক্রিস পিনচারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচারণের অভিযোগ বরিস জনসন যেভাবে মোকাবিলা করেছেন তাতে তার ওপর ক্ষুব্ধ এমপিরা। তাদের মত, করোনাকালে বিধিনিষেধের মধ্যে পার্টিগেট কেলেঙ্কারিতে বরিস জনসন জরিমানা দিয়েছেন। দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হয়েছে। এর ওপর যোগ হয়েছে ক্রিস পিনচারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ। এসব দলকে, সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।