যুক্তরাজ্যে একদিনে ৪৪ জন মন্ত্রী ও সহকারী কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। এছাড়া, গৃহায়ণ মন্ত্রী মাইকেল গোভকে বরখাস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। একদিনে এতো পদত্যাগ ও বরখাস্তের ঘটনায় জনসন সরকারের ওপর বাড়ছে চাপ। তবে ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। বিরোধী লেবার পার্টির আগাম নির্বাচনের দাবি নাকচ করেন তিনি। এর আগে, ১৯৩২ সালে ১১ মন্ত্রী একযোগে পদত্যাগ করেছিলেন।
মঙ্গলবার হঠাৎ পদত্যাগ করেন যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ওপর থেকে আস্থা হারানোয় পদ ছাড়েন তারা।
এরপর একের পর এক মন্ত্রী ও শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা পদত্যাগ শুরু করেন। সরকার টেকাতে চাপে পড়েন জনসন। বুধবার পার্লামেন্টে এমপিদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি। জনসনের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন বিরোধী লেবার পার্টিও। তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ জনসন।
মন্ত্রীসভা পুনর্গঠনে সরকার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন জনসন। ঋষি সুনাকের পদত্যাগের পর নতুন অর্থমন্ত্রী হন ইরাকি বংশোদ্ভুত নাদিম জাহাবি। তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। সে পদে নিয়োগ পান মিশেল ডোনেলান। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে সাজিদের স্থলাভিষিক্ত হন স্টিভ বার্কলে।
সম্প্রতি একের পর এক বিতর্কে জড়ান জনসন ও তার সরকার। করোনা লকডাউনে ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক মদের আসর বসিয়ে সমালোচনায় পড়েন তিনি। গত মাসে তার বিরুদ্ধে দলীয় আস্থাভোট আনা হলেও তাতে উতরে যান। এক বছরে জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তোলা যাবে না। তবে দলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয় ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে। এর জন্য ভুল স্বীকার করেন জনসন।
বিবিসি বলছে, যুক্তরাজ্যে মন্ত্রীদের পদত্যাগের পর ইউগভের চালানো এক জরিপে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের ৬৯ শতাংশই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগ করা উচিত। ২০১৯ সালে জনসনকে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের মধ্যেও ৫৪ শতাংশ এখন তার পদত্যাগ চায়।