টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভরাডুবির পর অবশেষে ওয়ানডে ফরম্যাট ফিরে আসতেই বাংলাদেশ পেল নিজেদের স্বস্তির জয়।
শুরুতে বোলাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের আটকে রাখলেন দারুণভাবে। পরে ব্যাটাররা দেখিয়েছেন দৃঢ়তা। তাতে অবশেষে ক্যারিবীয় সফরে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে প্রভিডেন্স স্টেডেয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বৃষ্টির কারণে ৪১ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে বাংলাদেশ ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই লক্ষ্য ৬ উইকেট হাতে রেখেই তাড়া করে ফেলে বাংলাদেশ।
এদিন টস জিতে শুরুতেই অধিনায়ক তামিম বোলিংয়ে আনেন নাসুম আহমেদকে। প্রথম ওভারে মাত্র এক রান দেন তিনি।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই শাই হোপকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরত যান হোপ। এরপর আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার কাইল মেয়ার্সকে ফেরাতেও বেশিক্ষণ সময় লাগেনি বাংলাদেশের।
২৭ বলে ১০ রান করা মেয়ার্সকে বোল্ড করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন শামারাহ ব্রুকস। ৬৬ বলে ৩৩ রান করা এই ব্যাটারকে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানান শরিফুল ইসলাম। মাঝে ব্রেন্ডন কিংকেও ফেরান তিনি।
পরে ধীরে ধীরে উইকেটে সেট হতে চাওয়া নিকোলাস পুরান ও রভম্যান পাওয়েলকে আউট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্পতেই অলআউট করার আশা দেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুই ব্যাটার ফেরার পর রানের খাতা বেশিদূর আগায়নি ক্যারিবীয়দের।
বাংলাদেশের পক্ষে ৮ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন শরিফুল। এছাড়া মেহেদী হাসান ৩ ও মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ১ উইকেট।
১৫০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ বলে ১ রান করে আকিল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন লিটন দাস। এরপর ২৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে রান আউট হয়ে ফেরেন তামিম ইকবালও।
৫ চারে ৪৬ বলে ৩৭ রান করে নাজমুল হোসেন শান্ত ও ১৭ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান, কিছুটা হলেও শঙ্কা ভর করে। কিন্তু এরপর পুরোটা সময় ক্রিজে থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যদিও মাঝে আউট হয়েও নো বলের জন্য বেঁচে যান তিনি।
৬৯ বলে ৪১ রান করে মাহমুদউল্লাহ ও ২০ রান করে নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশ পায় ৬ উইকেটের জয়। ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিন উইকেট শিকারী মেহেদি হাসান মিরাজ।