আজ ১৬ জুলাই, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কারাবরণ দিবস। আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ সমমনা রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটিকে ‘গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস’ হিসেবে পালন করে। আজ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে দিবসটি।
২০০৭ সালের এই দিনে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্দেশে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসভবন সুধা সদন থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে তাঁর নামে কয়েকটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। সংসদ ভবনের পাশে একটি বাড়িকে বিশেষ কারাগার বানিয়ে সেখানে ১১ মাস তাঁকে অন্তরীণ রাখা হয়। তাঁকে গ্রেফতারের পর জরুরি অবস্থার মধ্যেই দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ ও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কলাকুশলীরা। আমেরিকায় গিয়ে জরুরি চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে তিনি জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ছুটে বেড়ান দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। পরে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠিত হয়। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন দিনটি ‘শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। দিনটি উপলক্ষে সকাল ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। বাদ আসর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবে আওয়ামী যুবলীগ। এ ছাড়া ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ অন্যান্য সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো আলোচনা ও দোয়া মাহফিল শেষে গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে যার যার অবস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দেশবাসীকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সব বাঙালির হৃদয়ে দেশপ্রেমের বহ্নিশিখা প্রজ্বলিত করে সংকট জয়ের ঐক্যবদ্ধ সুরক্ষা ব্যুহ সৃষ্টি করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন।