তাপপ্রবাহ ও দাবানলে পুড়ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, পর্তুগাল, স্পেন ও ফ্রান্সে তীব্র তাপপ্রবাহ ও দাবানল আগামী দিনগুলোতে আরও খারাপ হতে পারে। সেই সঙ্গে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইউরোপের অন্যান্য অংশেও তা ছড়িয়ে পড়তে পারে এই তাপপ্রবাহ ও দাবানল। খবর ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি ও রয়টার্সের।
ব্রিটেনের তাপমাত্রা ইতোমধ্যেই রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। ব্রিটেনের আবহাওয়া দফতর ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বেশিরভাগ অংশে চরম তাপপ্রবাহের বিষয়ে কড়া সতর্কতা জারি করেছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রবিবার ও সোমবার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে অস্বাভাবিক উচ্চে পৌঁছাতে পারে।
পর্তুগালের তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে পৌঁছেছে। সেখানে তাপপ্রবাহের চরম লাল সতর্কতা জারি করে মানুষের জীবন-হুমকির মুখে বলে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। একই ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে স্পেন-ফ্রান্সেও। পর্তুগাল, স্পেনের পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সে ২০টিরও বেশি দাবানলের খবর পাওয়া গেছে।
নেচার জিওসায়েন্স জার্নাল আটলান্টিক মহাসাগরের ওপরে একটি উচ্চ চাপ সম্প্রসারণের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে সাম্প্রতিক একটি মডেলিং গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার ওয়াচ প্রোগ্রামের বৈজ্ঞানিক লরেঞ্জো ল্যাব্রাডর বলেন, আজোরেস হাই নামে পরিচিত এই পদ্ধতিতে দেখা গেছে যে গত ১ হাজার বছরের মধ্যে আইবেরিয়ান উপদ্বীপ সবচেয়ে শুষ্ক অবস্থার দিকে ধাবিত হবে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বায়ু দূষণ হচ্ছে অকাল মৃত্যু এবং রোগের একটি প্রধান কারণ। বর্তমানে এটি হচ্ছে ইউরোপে সবচেয়ে বড় পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকি।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি বছর ইউরোপে বায়ু দূষণের কারণে ৩ লাখের বেশি মানুষ অকালে মারা যায় এবং বিশ্বব্যাপী সত্তর লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়। সূত্র: রয়টার্স, ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি