সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ায় গায়ানায় আজ (১৬ জুলাই) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে একাদশে পরিবর্তনের ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। প্রয়োজনে নিজেকে ড্রপ দেয়ার কথাও বলেন তামিম। তাইতো এনামুল বিজয়, তাসকিনদের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়।
তবে ম্যাচের আগের দিন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন ভিন্ন কথা। দলের জয় নিশ্চিত করতে ভারসাম্যকে প্রাধান্য দিচ্ছেন এই প্রোটিয়া। কন্ডিশন আর প্রতিপক্ষ বোলারদের ধরনে একাদশে ডানহাতি ব্যাটারের পরিবর্তে বাহাতিদের আগ্রাধিকার দিচ্ছেন কোচ। সেই সাথে স্পিন ট্রাকে অন্য পেসারদের সুযোগও দেখছেন না ডমিঙ্গো।
ডোমিঙ্গো বলেন, বিজয় ডানহাতি ব্যাটার। এখানে বামহাতি ক্রিকেটাররা বেশি সফল হবে। তাই খুব বেশি পরির্তনের পক্ষে নই আমি। এখানকার পিচের কন্ডিশন স্পিনারদের পক্ষে। তাইতো একাদশের বাইরের অন্য পেসারদের সুযোগ দেয়াটাও কঠিন।
ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল নিয়মিত পারফর্মার। তবে কোচ ডমিঙ্গোর ভাবনা জুড়ে এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার হতে যাওয়া এই আসরে ভালো করতে মরিয়া টাইগার কোচ। ফলাফলের বিচারে বাংলাদেশ এখনও ২০ ওভারের খেলায় আনাড়ি দল হলেও উন্নতি দাবি করছেন কোচ।
বাংলাদেশের হেড কোচ বলেন, আমার ভাবনা জুড়ে এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। গেল বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচই জিততে পারিনি। এবার বেশ কিছু ম্যাচ জিততে চাই। এই ফরম্যাটে রেজাল্ট আমাদের পক্ষে নয়। কিন্ত দেখবেন লড়াই করছি আমরা। আশা করি জয় পাওয়ার পর্যায়ে পৌঁছাবে দল।
টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটেও ধুঁকছে বাংলাদেশ। যার কারণটা সাফ জানিয়ে দিলেন এই প্রোটিয়া। লঙ্গার ভার্সনে টাইগার ক্রিকেটারদের ম্যাচ স্বল্পতা।
ডোমিঙ্গোর ভাষ্য, বড় সমস্যা হচ্ছে মাত্র অল্প সংখ্যক চারদিনের ম্যাচ খেলে ক্রিকেটাররা। খুব সম্ভবত বছরে ৪-৫টি। এই সংখ্যাটা না বাড়লে উন্নতি করা কঠিন। ইংল্যান্ডে প্রতিবছর অন্তত ১৫-১৬টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান ক্রিকেটাররা। সেই সাথে ‘এ’ দলের খেলা নিয়মিত হওয়াটাও খুবই জরুরি।