ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাক ও বাসের সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট সাতজনের মৃত্যু হলো। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ১০ জন। নিহতদের মধ্যে দুই নারী, দুই শিশু ও ৩ জন পুরুষ রয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, ফজলুল হক (৩৫), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮), তাদের ছেলে আব্দুল্লাহ (৬), তাদের মেয়ে আজমিনা (৯) এবং ফজলুল হকের শ্বশুর নজরুল ইসলাম (৫৫), মোঃ সিরাজ (৩৫), হেলেনা (৪০)।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা সোয়া ৩টার দিকে ত্রিশাল উপজেলার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেলেরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন জানান, প্রতিযোগিতা করে একটি বাস অপর একটি বাসকে ওভারটেক করতে চাইলে দাঁড়িয়ে থাকা সোনাই পরিবহনের একটি বিকল ট্রাম ট্রাকে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি সেপার এম.এ পরিবহনের। এ বাসটি শেরপুরগামী ছিল। তবে অপর প্রতিযোগী বাসের নাম জানা যায়নি। পাঁচজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। একজন ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং একজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
দাঁড়িয়ে থাকা সোনাই পরিবহনের চালক মো: ইয়াসিন আলী জানান, সোনাই পরিবহনে পাথর নিয়ে ময়মনসিংহ আসছিলাম। চেলেরঘাট এলাকায় আসলে আমার ট্রাকের ডান পাশের সামনের চাকা ব্লাস্ট হয়ে যায়।
এ সময় ট্রাকটিকে রাস্তার ডান পাশে সাইড করে সর্তক সংকেত হিসেবে গাছের ডাল টানিয়ে দেই। পরে একজন হেলপারকে শম্ভগঞ্জ থেকে নতুন চাকা আনতে পাঠাই।
এর কিছুক্ষণ পর শেরপুরগামী দুটি বাস প্রতিযোগিতা করে পেছন দিক থেকে আসতে থাকে। এ সময় একটি বাস অপরটিকে ওভারটেক করতে চাইলে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা খায়।
সোনাই পরিবহনের অপর স্টাফ আলমগীর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার সময় আমরা বিকল চাকা খুলে নতুন চাকা লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এরই মধ্যে চোখের পলকে এ দুঘটনা ঘটে যায়।
ওসি মঈন আরও জানান, আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।