শনিবার (১৬ জুলাই) রাত ১২টার দিকে লেকের পানি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
আবির শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার কাইজারচর গ্রামের শাহ আলমের একমাত্র ছেলে। পরিবারের সঙ্গে হাজারীবাগ ডেন্টাল রোড ১৯ নম্বর গলির একটি বাসায় থাকতো সে। আগে একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করলেও বর্তমানে বেকার ছিল আবির।
আবিরের বাবা শাহ আলম জানান, শনিবার ৪-৫ জন বন্ধু মিলে ধানমন্ডি লেকে গোসল করতে যায় আবির। বেলা ১২টার দিকে অন্যরা পানি থেকে উঠে আসলেও সে আরও একটি ডুব দিয়ে উঠবে বলে জানায়। এরপর ডুব দিতে গিয়ে সে পানিতে নিখোঁজ হয়। পরে তার বন্ধুরা সেখান থেকে চলে আসলেও লেকের আশপাশের কয়েকজনকে ছাড়া আবিরের পরিবারের কাউকে বিষয়টি জানায়নি। রাত ১০টার দিকে তিনি খবর পেয়ে ধানমন্ডি লেকে যান। এরপর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের খবর দিলে তারা এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে লেকের পানিতে ভেসে ওঠে আবিরের মরদেহটি। পরে ফায়ার সার্ভিস পানি থেকে পাড়ে তুলে আনে মরদেহ। আবির মোটামুটি সাঁতার জানতো বলে জানান তিনি।
মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ধানমন্ডি লেকের হৈচৈ রেস্টুরেন্ট ও ডিসি রেস্টুরেন্টের মাঝামাঝি স্থানের পানি থেকে আবিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।