দেশীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে টেকনিক্যাল দিক থেকে শুরু করে অনেক কিছু দেখিয়েছেন। বিদেশের সিনেমার মতো অ্যাকশন তার সিনেমার মাধ্যমেই দর্শক প্রথমবার দেখার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি অনন্ত জলিল।
দীর্ঘ আট বছর পর নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হয়েছেন এ নায়ক। ঈদ উপলক্ষে গত (১০ জুলাই) দেশের ১১৫টি হলে মুক্তি পেয়েছে অনন্ত জলিলের ‘দিন দ্য ডে’ সিনেমাটি। বরাবরের মতো এবারও তার সঙ্গী হয়েছেন বর্ষা।
অনন্ত জলিল কত টাকার মালিক- এমন প্রশ্নের উত্তরে নায়ক বলেন, ‘আমার একাউন্টে ৫-১০ হাজার টাকা আছে কিনা আমি জানিনা। আমি কখনও টাকা সেভিংস করি না। যত টাকা ইনকাম করেছি, সেটা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি বাড়িয়েছি। আমার ভাই যখন কোম্পানি শুরু করে তখন মাত্র ২০০ লোক কাজ করতো। আমি যখন কোম্পানিতে আসি, তখন ৪০০ লোক কাজ করতো। আর এখন সাড়ে ১২ হাজার লোক কাজ করে। ৬৪ বিঘার ওপর ফ্যাক্টরি। যতটুকু ইনকাম করি সেটা ইনভেস্ট করি আর মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাই। মরার পর ব্যাংক-ব্যালেন্স কারও সঙ্গে যাবে না- এটুকু বিশ্বাস করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার পরিবারও আরিজ-আবরারের (অনন্ত জলিলের দুই ছেলে) জন্য ২-১টা ডিপোজিট করতে বলে। আমি তাদের একটাই কথা বলি, আমার বাবা আমার জন্য ডিপোজিট করেনি। আমার প্রতি ইনভেস্ট করেছে, আমাকে এডুকেটেড করেছে। আমাকে কেন আমার সন্তানদের জন্য ডিপোজিট করে যেতে হবে। তাদের তো ভাড়া বাসায় থাকতে হবে না। নিজেদের বাড়ি আছে। ওরা নিজেরা কিছু করতে না পারলে আমি দায়ী না। তাদের পড়াশোনা করানো পর্যন্ত আমার ডিউটি।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘দিন দ্য ডে’। সিনেমাটির বাজেট ১০০ কোটি টাকা। এই সিনেমার বাংলাদেশের অংশের প্রযোজক অনন্ত জলিল। অর্থাৎ বাংলাদেশে শুটিংয়ে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তিনি সেই অংশটুকুতেই লগ্নি করেছেন। অন্যান্য দেশের শুটিংয়ে ব্যয় বহন করেছে ইরানি প্রযোজক। বাজেটের কারণে বেশ আগে থেকেই আলোচনায় রয়েছে ‘দিন-দ্য ডে’। মুক্তির পরেও কম আলোচনা-সমালোচনা হয়নি।