প্রায় সমস্ত সম্পত্তি দান করে দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। এর ফলে তিনি আর বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনীদের মধ্যে থাকবেন না বলে নিজেই জানিয়েছেন। বলেছেন, তার সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডার সঙ্গে যে দাতব্য ফাউন্ডেশন অর্থাৎ বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্টেশন গঠন করেছেন, তাতেই দান করবেন সব সম্পত্তি। নিজের টুইটার একাউন্টে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। এর ফলে তিনি ধনীদের তালিকার নিচে চলে যাবেন এবং শীর্ষ ধনীদের তালিকায় কার্যত থাকবেন না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ফক্সবিজনেস। এতে বলা হয়, ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে, বিশ্বের বর্তমান চতুর্থ ধনী বিল গেটস। তার নিট সম্পদের পরিমাণ ১২৯০০ কোটি ডলার। এই সম্পদ নিয়ে তিনি এই তালিকায় আছেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি সবচেয়ে বেশি বেসরকারি ফার্মের মালিক বলে বিবেচনা করা হয়।
বিভিন্ন রাজ্যে আছে তার দুই লাখ ৬০ হাজার একর জমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া পোস্টে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ ধনী বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন বাফেটকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কারণ, ওয়ারেন বাফেট তার গেটস ফাউন্ডেশনে অবদান রেখেছেন।
টুইটে বিল গেটস বলেছেন, যদিও এই ফাউন্ডেশন আমাদের নাম বহন করে, কিন্তু মৌলিকভাবে আমাদের অর্ধেক রিসোর্স এসেছে ওয়ারেন বাফেটের কাছ থেকে। তার অবিশ^াস্য উদারতার কারণে এই ফাউন্ডেশন এত উচ্চাকাক্সক্ষী হতে সক্ষম হয়েছে। তার বন্ধুত্ব ও নির্দেশনা কি পরিমাণে পেয়েছি তা কখনো আমি বলে বোঝাতে পারবো না।
উল্লেখ্য, বিল গেটস ও তার সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস এবং ওয়ারেন বাফেট ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন দ্য গিভিং প্লেজ। বিশ্ব ভয়াবহ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে, তা মোকাবিলার জন্য বিশ্বের ধনীদের অর্ধেকের বেশি সম্পদ দান করার আহ্বান জানান তারা। অবশেষে ২০০০ সালে নিজেদের ফাউন্ডেশন নিয়ে কাজ শুরু করেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। মহামারি প্রতিরোধ, শিশুমৃত্যু কমিয়ে আনা, রোগ নির্মূল করা, খাদ্য নিরাপত্তা উন্নত করা, জলবায়ু পরিবর্তন উন্নত করা, লিঙ্গগত সমতা অর্জন এবং শিক্ষার মান উন্নয়নসহ সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোকে সমাধানে ফাউন্ডেশনের ভূমিকা নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেন বিল গেটস।
তিনি বলেন, তার সংগঠন ২০২৬ সালের মধ্যে বার্ষিক খরচ প্রায় ৬০০ কোটি থেকে ৯০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। এই মাসে তিনি একান্তই নিজস্ব আরও ২০০০ কোটি ডলার দেবেন এই ফাউন্ডেশনে। বিল গেটস বুধবার টুইটে লিখেছেন, আমার সম্পদ সমাজের কাছে এমন এক উপায়ে ফেরত দিতে বাধ্য, যা থেকে দুর্ভোগ কমে এবং জীবন উন্নত হয়। আমি আশা করি অন্য যাদের এমন সম্পদ আছে তারাও এই মুহূর্তে এগিয়ে আসবেন।