ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বাথরুমের জায়গা নিয়ে বিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষে আক্তার মিয়া (৩৯) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
বাথরুম নিয়ে দ্বন্দ্বে দুপক্ষের সংঘর্ষ, যুবক নিহত
রোববার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত আক্তার মিয়া গুনিয়াউক গ্রামের খুরশেদ আলীর ছেলে।
আহতরা হলেন- আক্তার মিয়া, মাহবুবু সরকার, সুফিয়া বেগম, রত্না বেগম, নেক জাহান বেগম, লিয়াকত আলী, রাজনাহার বেগম, রঙ্গবালা বেগম, কমরুল মিয়া, ফয়সাল মিয়া, লিটন মিয়া, আলফাজ মিয়া, দুলাল মিয়া, সরাজ মিয়া, মিলন মিয়া, বিল্লাল মিয়া, লায়েছ মিয়াসহ ২০ জন।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার গুনিয়াউক গ্রামের মো. আক্তার মিয়া ও তার প্রতিবেশী চাচাতো ভাই দুলাল মিয়ার সঙ্গে একটি বিরোধপূর্ণ জায়গা দখল নিয়ে বিরোধ চলছিল।
কিছুদিন আগে দুলাল মিয়ার জায়গা দখল করে তার চাচাতো ভাই আক্তার মিয়া বাথরুম তৈরি করছিলেন। পরে দুলাল মিয়ার লোকজন এ নিয়ে বাধা দেন; কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। পরে এ নিয়ে এলাকায় একাধিক গ্রাম্য সালিশ হয়। এতেও বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি।
পরবর্তীতে এ নিয়ে আবারও সালিশ আহ্বান করা হয়। তবে আক্তার মিয়ার পক্ষের লোকজন এতে সাড়া না দিয়ে বাথরুম নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখেন। এ নিয়ে আক্তার মিয়ার লোকজন বাধা দিলে বিরোধ আরও তীব্র হয়। এই বিরোধের জের ধরে রোববার রাতে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে নারী পুরুষসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
তাদের নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত আক্তার মিয়াকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, জমি নিয়ে আপন চাচাতো ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের ঘটনায় সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে আক্তার মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পরবর্তীতে সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নাসিরনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।