ওয়াসার এই সক্ষমতা বাড়াতে গিয়ে দেশের টাকা ছাড়াও বিদেশ থেকে ঋণ নিতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে- ২০২৪ সাল থেকে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে হবে। তাই বর্তমানে ওয়াসার পানির মূল্য বাড়ানো যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রোববার (১৭ জুলাই) সোনারগাঁ হোটেলে ঢাকা ওয়াসা ও ওয়াটারএইডের যৌথ সহযোগিতায় এলাকাভিক্তিক পনির মূল্য নির্ধারণ বিষয়ক টেকনিক্যাল স্টাডির (কারিগরি গবেষণা) ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ঋণের টাকা আমাদেরই পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা বলে আসছি ছোটবেলা থেকে- দশের লাঠি একের বোঝা। তাই আমরা গ্রাহকরা যদি ৫০-১০০ টাকা দেই, দেশ পাঁচ লাখ-কোটি টাকা থেকে মুক্তি হলো।
তিনি আরও বলেন, আমরা যখন বলি- আরও কোয়ালিটিপূর্ণ পানি চাই, তাহলে তো কোয়ালিটিপূর্ণ দাম দিতে হবে। এখন আমরা যে পদ্ধতিতে এগিয়ে যাচ্ছি, এখানে ৫০-১০০ টাকা সামর্থবানরা দেবেন। আমরা সবাই মিলে দেশের দায়িত্ব নিতে চাই। সেখানে আমাদের ভাগে খুব একটা পড়বে না। আর ভর্তুকি আমরা দেব, যারা অসহায় কিংবা সমস্যায় আছেন। তবে আমরা বলতে পারি দাম বেশি হবে না।
ওয়াসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যথেষ্ট লাভজনক প্রতিষ্ঠান হতে পারে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ওয়াসার পানির দাম রিজনেবল জায়গায় আসা দরকার। আমরা সবাই ট্যাক্স দেই। এই ট্যাক্স যদি পাঁচ টাকা বেশি দেওয়ার কারণে দেশ উন্নত হয়ে যায়, দেশ সুবিধা বাড়িয়ে দেবে। এ সময় বর্তমানে আমাদের পানির উৎপাদন খচর ২৫ এবং ২৭ টাকা বলেও জানান মন্ত্রী।