হেফাজতে ইসলামের মতিঝিলের ঘটনায় বিতর্কিত হয় নিবন্ধনবিহীন মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’। এবার সেই সংগঠনটি এবং রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর প্রসঙ্গ তুলে গুম-খুনের ৭৬টি ঘটনার সবশেষ তথ্য জানতে চেয়ে বাংলাদেশকে সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি দিয়েছে জাতিসংঘ। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, তথ্য সংক্রান্ত জটিলতায় উত্তরের সময় পিছিয়েছে ঢাকা। তবে জবাব পাঠানো হবে এক সপ্তাহের মধ্যে।
২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ করে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে পুরো শহরেই নাশকতা চালিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম। পরদিনও রাজধানীর কয়েকটি স্থানে একই ধরনের তাণ্ডব চালায় সংগঠনটি। ওই ঘটনায় পুলিশি অভিযানের সময় ৬১ জনের মৃত্যুর দাবি করে সেই বছরের ১ জুন রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’।
তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সংগঠনটির কাছে ৬১ জনের ঠিকানা চাওয়া হলেও তা দিতে পারেনি সংগঠনটি। তথ্য প্রমাণে মেলেনি মৃতের সংখ্যাও। এতে অধিকারের বিরুদ্ধে মামলা করে সরকার। বাংলাদেশের এনজিও ব্যুরো বাতিল করে সংগঠনটির নিবন্ধন। ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হয়।
নিবন্ধনবিহীন সেই ‘অধিকার’র প্রসঙ্গ তুলে এবার কয়েকটি নাগরিক সংগঠনসহ আন্তর্জাতিক এবং জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করা সংস্থাগুলোর জন্য উদ্বেগ জানিয়ে গত ২৭ জুন বাংলাদেশের বক্তব্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল অফিস অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশন্স হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওএইচসিএইচআর)। নিউইয়র্কের স্থায়ী মিশনকে পাঠানো এ চিঠিতে ১ মে ২০২১ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত এক বছরের মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট স্পর্শকাতর ঘটনাগুলো সম্পর্কে সবশেষ তথ্য জানতে চাওয়া হয়।
চিঠিতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডসহ ৭৬টি গুমের ঘটনার সবশেষ তথ্য চেয়েছিল জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিবের ‘জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতা, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে তার প্রতিনিধি এবং প্রক্রিয়া’ বিষয়ক রিপোর্টে এ সম্পর্কে বাংলাদেশের বক্তব্য স্থান পাবে জানিয়ে জবাবের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল ১৫ জুলাই।
চিঠির জবাব প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, বেশ কয়েকটি কারণে উত্তরের সময় পিছিয়েছে ঢাকা। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে চিঠির জবাব পাঠানো হবে।