অনেক নারীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে প্রথম সন্তানের ডেলিভারি সিজারে হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি নরমাল ডেলিভারি করতে আগ্রহী। তা কি হবে? আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান ডাক্তার আছেন আপনার পাশে-র একটি পর্বে সন্তানধারণ সম্পর্কে বলেছেন মুগদা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. নুসরাত আরা ইউসুফ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. নুসরাত আরা ইউসুফ বলেন, সিজারের পরে যে নরমাল ডেলিভারি চায়, সেটাকে আমরা ভিব্যাক বলি (ভ্যাজাইনাল বার্থ আফটার সিজারিয়ান সেশন—ভিবিএসি)। এই ভিব্যাকের জন্য কতগুলো প্যারামিটার আছে। প্যারামিটারগুলো যদি ভালো থাকে, তাহলে ভিব্যাকের সাকসেস রেট ভালো হয়। সেই প্যারামিটার কী। একটা সিজারের পর কিন্তু ভিব্যাক হবে। পরপর যদি দুইটা সিজার থাকে, তাহলে ভিব্যাকের জন্য সে পারফেক্ট পেশেন্ট না। এ ছাড়া আমরা যেটা বলি, ভিব্যাক প্রেগন্যান্সির গ্যাপ থাকতে হবে দুই থেকে চার বছর। এর চেয়ে কম সময় থাকলে, দেখা গেল ১৮ মাসের কম সময়, তাহলে কিন্তু ভিব্যাকের জন্য সুইটেবল পেশেন্ট না।
ডা. নুসরাত আরা ইউসুফ আরও বলেন, যে সিজারিয়ান সেশনটা হলো, সেটার কস্টটা কী। মানে ইনডিকেশনটা কী ছিল। যদি নন-রিকারেন্ট কোনও কজ থাকে, যেমন আগের বার হয়তো তার সময়ের আগে পানি ভেঙে গেছে, যেটাকে প্রম বলি, বা বাচ্চা উলটে ছিল; সেটা যদি এই প্রেগন্যান্সিতে না থাকে, তাহলে তাকে ভিব্যাকের জন্য ট্রায়াল দেওয়া যাবে। অথবা যদি দেখা যায় যে আগের প্রেগন্যান্সিতে যে জটিলতা ছিল, সেই জটিলতাগুলো এই প্রেগন্যান্সিতে নেই, তাহলে সেই পেশেন্টকে অবশ্যই ভিব্যাকের জন্য ট্রায়াল দেওয়া যাবে।