জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.আবুল কালাম মোঃ লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় আজ ১৮ জুলাই সকাল ১১ টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নজরে আনা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টিকে পরিষ্কার করা প্রয়ােজন বলে সমিতি মনে করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক এবং একাডেমিক এ দুই ধরনের পদ রয়েছে।
প্রশাসনিক পদ বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অর্থাৎ উপাচার্য মহােদয়ের এখতিয়ারভুক্ত পদসমূহ কে বােঝায়, যেমন হলের প্রভােষ্ট, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ পরিবহন প্রশাসক, পরিচালক (গবেষণা) পরিচালক (আইটি) ইত্যাদি। অন্যদিকে ডিন এবং চেয়ারম্যান পদসমুহ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ অনুযায়ী সিনিওরিটির ভিত্তিতে নিয়ােগ দেয়া হয়। এগুলাে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত কোন পদ নয়। বিষয়টি খুবই পরিষ্কার। কাজেই প্রকাশিত সংবাদটি প্রকাশের পূর্বে সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দের এই বিষয়গুলাে বিস্তারিত জানার প্রয়ােজন ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পদ্ধতি সম্পর্কে পরিষ্কার জ্ঞান না রেখে অসত্য তথ্য পরিবেশন করে একজন শিক্ষকের সম্মানহানি করা হয়েছে। যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রােল মডেল হিসেবে পরিণত করে শিক্ষার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণােদিত সংবাদ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালযয়ের শিক্ষককে হেয় করা বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের বর্তমান অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার শামিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ ধরনের ঘৃণ্য কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ভবিষ্যতে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আরাে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য বলা হচ্ছে। কার্যনির্বাহী সদস্য ড. মােঃ আব্দুস সামাদ, সহযােগী অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মােহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান ড, এ. এম, এম, গােলাম আদম, সহযােগী অধ্যাপক শামীমা আক্তার, সহযােগী অধ্যাপক ফরহাদ আহমেদ সহকারী অধ্যাপক ড, মােহাম্মদ আব্দুল কাদের সহযােগী অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মােঃ রেজাউল করিম ড. মুসাররাত শামীম, সহযােগী অধ্যাপক ড. মােঃ মিরাজ হােসেন, সহযােগী অধ্যাপক ড. মােঃ রফিকুল ইসলাম, সহযােগী অধ্যাপক ধন্যবাদসহ অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মােঃ লুৎফর রহমান সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.মোঃ আবুল হোসেন নিজ স্বাক্ষরিত আলাদা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় আমাকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটি আমার নজরে এসেছে। এই প্রেক্ষিতে বিষয়টিকে পরিষ্কার করা প্রয়ােজন বলে মনে করছি। বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে প্রশাসনিক এবং একাডেমিক এ দুই ধরনের পদ রয়েছে। গত শিক্ষক সমিতির নির্বাচনী ইশতেহারে নির্বাচিত হলে কোন প্রশাসনিক পদ গ্রহণ করব না মর্মে প্রতিশ্রুতবদ্ধ হয়ে ছিলাম। প্রকৃতপক্ষে প্রশাসনিক পদ বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অর্থাৎ উপাচার্য মহােদয়ের এখতিয়ারভুক্ত পদসমূহ কে বােঝায়, যেমন প্রক্টর, হলের প্রভােষ্ট , পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ), পরিবহন প্রশাসক, পরিচালক (গবেষণা) ইত্যাদি। অন্যদিকে ডিন ও চেয়ারম্যান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ অনুযায়ী সিনিওরিটির ভিত্তিতে আবর্তিত হয়। এগুলাে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত কোন পদ নয়। আমার স্নেহভাজন সাংবাদিকরা প্রকৃত অবস্থা না জেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ সমূহের বিন্যাস না বুঝে এরকম একটি সংবাদ পরিবেশন করে আমাকে জনসম্মুক্ষে হেয় করার অপচেষ্টায় আমি খুবই ক্ষুব্ধ এবং বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়েছি। এ ধরনের অসত্য সংবাদ পরিবেশন পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ভাবমূর্তিকে খাটো করা হয়েছে যা এই ক্যাম্পাসের সাংবাদিকদের নিকট থেকে আশা করিনি। ভবিষ্যতে এ ধরনের অসত্য তথ্য পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।