যশোরের মণিরামপুরে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৮ জুলাই) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক নিলুফার শিরীন অভিযোগটি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মহাসিন হোসেন মণিরামপুর উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের আসাদ মোড়লের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত রয়েছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে মণিরামপুরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান ভুক্তভোগী নারী। সে সময় মহাসিন হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে বিভিন্ন সময় মহাসিন তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে মহাসিন ওই নারীকে জানান, তিনি শিগগিরই পুলিশে যোগদান করবেন। যোগদানের পর তাকে বিয়ে করবেন। এ আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় মহাসিন।
একপর্যায়ে মহাসিন পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পান। ছুটিতে বাড়িতে এসে গত ১৯ মার্চ ওই নারীকে বড় বোনের বাড়িতে আসতে বলেন। ওই নারী মহাসিনের কথামতো তার বোনের বাড়িতে আসেন। বোন ও ভগ্নিপতি বাড়ির বাইরে গেলে মহাসিন ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। কিছু সময় পর ওই নারীর বোন বাড়িতে চলে এলে বিষয়টি জানাজনি হয়। এরপর মহাসিন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে চলে যায়।
এদিকে গত ১০ এপ্রিল ভুক্তভোগী নারী মোবাইলে মহাসিনকে বিয়ের জন্য বললে অশোভন আচরণ করেন তিনি। ২৬ জুন ওই নারীকে বিয়ে করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। শুধুই তাই নয়, এ সময় নারীকে এসব বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে গুম ও হত্যার ভয় দেখানো হয়। পাশাপাশি নারীর সঙ্গে মহাসিনের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করা আছে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী গতকাল সোমবার (১৮ জুলাই) আদালতে মামলা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে মহাসিন জানান, তিনি যখন খুলনায় চাকরি করতেন, সে সময় ওই মেয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তার বোনের বাড়িতে যান। সেখানে গেলে তাকে আটকে রেখে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করা হয়। তার সঙ্গে অপ্রীতিকর ছবি তুলে রাখা হয়। ওই ছবি দেখিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। বিয়ে করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন।