জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় রাজধানীর মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বাড়িয়ে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকল্পটির ব্যয় ও সময় বেড়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের দূরত্ব ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার বাড়ানোয় এর মেয়াদ বেড়েছে দেড় বছর এবং ব্যয় বেড়েছে ১১ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। এতে প্রকল্পটির মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
তিনি জানান, আজ এই প্রকল্পসহ মোট আটটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৮৫৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১২ হাজার ৪৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে ৩ হাজার ২৭৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা নেওয়া হবে।
অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হলো-
চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি জাতীয় মহাসড়কের (এন-১০৬) হাটহাজারী থেকে রাউজান পর্যন্ত সড়কাংশ ৪-লেনে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত), ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রান্সজিট ডেভেলপমেন্ট (লাইন-৬) (দ্বিতীয় সংশোধিত), নরসিংদী সড়ক বিভাগের আওতায় ইটাখোলা-মঠখোলা-কটিয়াদী সড়ক (আর-২১১) ও নয়াপাড়া-আড়াইহাজার-নরসিংদী-রায়পুরা (আর-১১৪) দুটি আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মানে প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প।
এছাড়াও ময়মনসিংহ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের জন্য ধনুয়া থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ, ইলেকট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি (ইপিসিবিসিএসপি) (২য় সংশোধিত), খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ, উপজেলা গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ইউজিডিপি) (দ্বিতীয় সংশোধিত), বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।