নিয়োগ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মাদরাসার এক শিক্ষকের নাক ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৮জুলাই) দুপুরে উপজেলাধীন সিরাজ উদ্দিন দাখিল মাদরাসায়। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রাজারহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন।
সম্প্রতি মাদরাসার তিনটি পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সোমবার (১৮ জুলাই) সকালে ওই তিনটি পদের নিয়োগ বোর্ড গঠনের বিষয়ে মাদরাসার সুপার ইউনুস আলীর সঙ্গে পরামর্শ করতে আসেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোখলেছুর রহমান।
আহত শিক্ষক সুলতান আলী জানান, এ সময় তিনটি পদেই মাদরাসা সভাপতির মনোনীত প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করে। আমার ছেলে একটি পদের প্রার্থী হওয়ায় আমি সভাপতিকে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ জানাই। এ সময় সভাপতি মোখলেছুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে অন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের সামনেই আমাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকেন। এতে আমার নাক ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হই।
খবর পেয়ে সুলতানের পরিবারের লোকজন মাদরাসা আসার চেষ্টা করেন। পথে মোখলেছুর রহমান ও তার লোকজন সুলতান আহমেদের ছেলে মাহবুবার রহমান বিপ্লব (২৫) এবং বড় ভাই বুলু মিয়াকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে ।
সুলতান আরো অভিযোগ করেন, প্রায় ৩০-৩৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সভাপতি তার মনোনীত ৩প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করে আসছে। আমার ছেলেও একজন প্রার্থী হওয়ায় সভাপতি ও মাদরাসা সুপারকে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাই। জবাবে সভাপতি আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালালেন।
এ ব্যাপারে মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। তবে মাদরাসা সুপার ইউনুস আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি না। আমাকে ওই প্রতিষ্ঠান থেকেও কিছু জানানো হয়নি।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু সরকার বলেন, এ ঘটনায় শিক্ষক সুলতান আলীর একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।