যানজট থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে দ্রুত এগিয়ে চলছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। চলমান মেট্রোরেল প্রকল্পের দূরত্ব ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার বাড়ানো হয়েছে, সেই সঙ্গে প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ এবং ব্যয়ও বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পটির ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ১১ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। ফলে ২১ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকার প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
মন্ত্রী বলেন, আজকের সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি জাতীয় মহাসড়কের হাটহাজারী থেকে রাউজান পর্যন্ত সড়কাংশ চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ডেভেলপমেন্ট (লাইন-৬) (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প, নরসিংদী সড়ক বিভাগের আওতায় ইটাখোলা-মঠখোলা-কটিয়াদী সড়ক ও নয়াপাড়া-আড়াইহাজার-নরসিংদী-রায়পুরা দুটি আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মানে প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প, ময়মনসিংহ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের জন্য ধনুয়া থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ, ইলেকট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি (ইপিসিবিসিএসপি) (দ্বিতীয় সংশোধিত), খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ, উপজেলা গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ইউজিডিপি) (দ্বিতীয় সংশোধিত), বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।’
আটটি প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৮৫৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ১২ হাজার ৪৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে তিন হাজার ২৭৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা পাওয়া যাবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।