গতকাল মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে পরিকল্পিত লোডশেডিং। দীর্ঘ সময় পর এক-দুই ঘণ্টা করে বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হচ্ছে শতভাগ বিদ্যুতায়িত দেশের জনগণকে। এই প্রথম সংকটের কথা আগেই স্বীকার করে সমাধানের পথ খুঁজছে সরকার। আশা করা হচ্ছে, বিদ্যুৎ-জ্বালানির চলমান সংকট দুই-তিন মাসের মধ্যেই কেটে যাবে।
কোনো কারণে সংকট বাড়লে সাশ্রয়ী হওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। বলেন, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে মন্ত্রিপাড়া ও সংসদ এলাকাতেও লোডশেডিং করা হবে।
ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, সংকট একেবারেই নেই, এ কথাটা বলা তো ঠিক না। সেজন্যই তো এ পদক্ষেপগুলো নেয়া হচ্ছে যাতে সংকটে পতিত না হই।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলেও দুই-তিন মাস পর সংকট থাকবে না বলে আশাবাদী তিনি। কারণ হিসেবে বলেন, এ সংকট দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। তিনটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হবে দেশে। ওইসব কেন্দ্রে ৫-৬ হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে জরুরি সেবা, আর অতি গুরুত্বপূর্ণ (ভিভিআইপি) ছাড়া সবখানেই লোডশেডিংয়ের কথা জানান মুখ্য সচিব। বললেন, জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের একক গাড়ি ব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আর অফিস সময় কমাতে গিয়ে কাজের ব্যঘাত হবে কিনা সরকারকে তাও ভাবাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। জানান, অফিস সময় কমানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও।
রিজার্ভ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই দাবি করে শ্রীলংকার মতো পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর এ মুখ্য সচিব। বললেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আর খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি এখনও সরকারের নিয়ন্ত্রণেই। উদ্বিগ্ন না হয়ে সাহসের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে বলেও জানান ড. আহমেদ কায়কাউস।