ধারাবাহিক পারফরম্যান্স আর বিপুল সমর্থকদের সমর্থন পুঁজি করে ক্রিকেট বিশ্বে নিজেদের অবস্থান বেশ শক্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও। আর্থিক উন্নতির দিক বিবেচনায় সেরাদের কাতারে বিসিবি। গত অর্থবছরে সব খরচ বাদ দিয়েও অ্যাকাউন্টে আরো প্রায় ৬৯ কোটি টাকা জমা করেছে টাইগার বোর্ড।
বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এজিএমে উপস্থাপিত বাজেটে ২০২০-২১ অর্থবছরে যে পরিমাণ আয় ও ব্যয় হয়েছে, তাতে ৬৯ কোটি টাকার মতো লাভ বিসিবির কোষাগারে জমা হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে গত অর্থবছর অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরের হিসাব পাওয়া যায়নি।
২০২০-২১ অর্থবছরে বিসিবির আয় হয়েছিল ২৩৭ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজার ৯৫৬ টাকা। আর ব্যয় করা হয় ১৬৮ কোটি ২১ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। টাকা উদ্ধৃত ছিল ৬৮ কোটি ৮৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৩ টাকা।
এজিএমে আর্থিক প্রতিবেদনে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিসিবির সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ৩৬২ কোটি টাকা ৬৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা, সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮৪ কোটি ৩৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪১ টাকা। আর উদ্ধৃত টাকা হলো ৭৮ কোটি ৩১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫৯ টাকা।
বিসিবি বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ড। দেশের ক্রিকেট বোর্ডের নগদ ও ব্যাংক জমার পরিমাণ হলো ২১৯ কোটি ৭৮ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫৭ টাকা। এফডিআরে বিনিয়োগ আছে সাড়ে ৬শ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে এফডিআর থেকে ইন্টারেস্ট বাবদ আয় হয়েছে ৪০ কোটি ৯১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। পুঞ্জিভূত তহবিল ৯০১ কোটি ৬৪ লাখ ১১ হাজার ৮৮৪ টাকা।
তবে আয় বাড়ার পরেও ভবিষ্যতের কথা ভেবে ব্যয় সংকোচনের পথে বিসিবি। সম্প্রতি জাতীয় দলের বিদেশ সফরের স্কোয়াড ও টিম ম্যানেজমেন্ট ছোট হওয়াসহ বেশ কিছু কাজেই ব্যয় সংকোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। যার ফল হিসেবে এবার এজিএমে কাউন্সিলরদের উপহারেও প্রভাব পড়েছে।
এজিএমে কাউন্সিলরদের উপহার দেওয়া একটা রেওয়াজ। গত বছর ২৬ আগস্ট হওয়া এজিএমে প্রতিটি কাউন্সিলরকে দেওয়া হয় একটি করে ল্যাপটপ ও ১ লাখ টাকা। এবার প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ ব্যয় কমিয়ে উপহার হিসেবে দেওয়া হয় একটি মুঠোফোন আর পঞ্চাশ হাজার টাকা করে।