মিয়ানমারের সামরিক জান্তার অভিযান থেকে রেহাই পেতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন ১০ লাখেরও বেশি। এদের অনেকেই বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এসব ঘটনায় অনেক রোহিঙ্গা গ্রেফতার হয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়ার মামলার অর্ধেকেরই বেশি মাদক সংক্রান্ত। রোহিঙ্গা ও মাদক সন্ত্রাসের এই ভয়াবহতা নিয়েই আয়োজন করা ‘রোহিঙ্গা ও নার্কো টেরোরিজম’ বিষয়ক সেমিনারের।
আজ বুধবার সকালে ‘রোহিঙ্গা ও নার্কো টেরোরিজম’ বিষয়ক ওই সেমিনারে বক্তারা এই অঞ্চলে মাদকের ভয়াবহতা ও রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। রাজধানীর হোটেল রেডিসনে এ সেমিনারের আয়োজন করে ডিপ্লোমেটস ওয়ার্ল্ড।
সেমিনারে বক্তারা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, মিয়ানমার সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুঃশাসনের কারণেই রোহিঙ্গারা ভোগান্তির শিকার। তারা যাতে মিয়ানমারে ফেরত যেতে পারে এবং সেখানে স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারে; সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
সেমিনারে উপস্থিত আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক। রোহিঙ্গা ও মাদক সন্ত্রাসের বিভিন্ন দিকে আলোকপাত করে সেমিনারে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহাব ইনাম খান, মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।