রাজধানীর কাফরুলে ব্যবসায়ী শাহজাহান শিকদার তার পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে দ্বিতীয় বিয়ের বউভাত অনুষ্ঠান করেন শাহজাহান। এতে তার প্রথম স্ত্রীর ছেলে এস এম আশিকুর রহমান নাহিদ ক্ষুব্ধ হন।
বিয়ের পর সৎমা সীমা বেগমের কারণে পিতা শাহজাহানের সঙ্গে নাহিদের সম্পর্কেরও দূরত্ব বাড়ে। আর সীমা বেগম বিভিন্ন বিষয়ে নাহিদকে তিরস্কার করতেন। যার কারণে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সৎমা সীমার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে নাহিদ সবজি কাটার ধারালো ছুরি দিয়ে গলা ও ডান হাতের রগ কেটে হত্যা তাকে করেন। সীমা বেগম হত্যার ঘটনায় আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে এসব উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ১১ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক টি এম ফরিদুর আলম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামি আশিকুর রহমান নাহিদের বিরুদ্ধে পেনাল কোড আইনের ৩০২/২০১ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমাণ হওয়ায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় এ মামলার দায় থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- জাকিয়া সুলতানা আইরিন, আসেক উল্লা, রোকেয়া বেগম, শাহজাহান শিকদার ও সাকিব।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক টি এম ফরিদুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সৎমা সীমা বেগমকে ঘিরে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। বিভিন্ন সময় আশিকুর রহমান নাহিদকে নিয়ে তিরস্কার করতেন সীমা বেগম। একপর্যায়ে সীমা বেগম নাহিদের মৃত মাকে নিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা বলেন। এতে সে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে সীমা বেগমকে হত্যা করে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সীমার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ মামলার তদন্তে প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় শুধু আসামি নাহিদকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ’