গল টেস্টে শেষ দিনে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১২০ রান। আর শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেট। এমন সমীকরণ নিয়ে খেলতে নেমে লঙ্কান স্পিনারদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আসাদ শফিক। এই ওপেনারের অপরাজিত শতকে লঙ্কার পাহাড় টপকে গল টেস্টে ইতিহাস গড়েছে পাকিস্তান। ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গেছে বাবর আজমের দল। যা এই মাঠে কোনো দলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড।
শেষে দিনে ৩ উইকেট ২২২ রান নিয়ে খেলতে নামে পাকিস্তান। আগের দিনের অপরাজিত সেঞ্চুরিয়ান শফিকের সঙ্গে দিনের খেলা শুরু করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। পঞ্চম দিনে গলের উইকেটে লঙ্কান স্পিনারদের ভালোভাবেই সামলেছেন এই দুই ব্যাটার। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিয়ে শুরুটা ভালো করে পাকিস্তান।
দলীয় ২৭৬ রানে রিজওয়ানকে ফিরিয়ে লঙ্কান শিবিরে দিনের প্রথম আঘাত হানেন প্রবাথ জয়সুরিয়া। এই উইকেটকিপার ব্যাটার লেগবিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৪০ রান করেছেন। এরপর আগা সালমান উইকেটে এসে দেখে-শুনে খেলা শুরু করেন।
সালমান উইকেটে সেট হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ৩৫ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন জয়সুরিয়ার বলে। পরের ওভারে হাসান আলিকেও হারায় পাকিস্তান। পরপর দুই ওভারে এই দুইজনকে ফিরিয়ে তখন ম্যাচে কিছুটা রোমাঞ্চ ফেরায় লঙ্কান স্পিনাররা।
এদিন এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন শফিক। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ নেওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়ার কাজটা ভালোভাবেই করেছেন এই ওপেনার। শফিক অপরাজিত থেকেছেন ১৬০ রানে আর নেওয়াজের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ১৯ রান।
প্রথম ইনিংসের মতোই এই ইনিংসেও বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন জয়সুরিয়া। ৫ উইকেটের পর এবার শিকার করেছেন ৪ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে একাই ৯ উইকেট শিকার করেছেন এই স্পিনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা (১ম ইনিংস)- ২২২/১০ (৬৬.১ ওভার) (চান্দিমাল ৭৬; আফ্রিদি ৪/৫৮)
পাকিস্তান (১ম ইনিংস)- ২১৮/১০ (৯০.৫ ওভার) (বাবর ১১৯; জয়সুরিয়া ৫/৮২)
শ্রীলঙ্কা (২য় ইনিংস)- ৩৩৭/১০ (১০০ ওভার) (চান্দিমাল ৯৪*; নেওয়াজ ৫/৮৮)
পাকিস্তান (২য় ইনিংস)- ৩৪৪/৬ (১২৭.২ ওভার) (শফিক ১৬০*; জয়সুরিয়া ৪/১৩৫)