বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কার্যক্রম ফের ভালোভাবে সচল হয়েছে। আজ (১৭ জুলাই) নতুন কোচিং প্যানেল নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী যুব বিশ্বকাপের আগে বেশ কিছু সিরিজ খেলবে টাইগার যুবারা। প্রতিটি সিরিজেই রাখা হয়েছে চার দিনের লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেট।
২০২০ সালে ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন আকবর আলির দল। তবে এবারের আসরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা হতাশ করেছে। টুর্নামেন্ট শেষ করেছে ৮ম অবস্থান নিয়ে। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছে দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
প্রধান কোচ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রুয়াট লয়ের সাথে ব্যাটিং পরামর্শক করা হয়েছে ভারতীয় ওয়সসিম জাফরকে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এসে নিজেদের কাজ বুঝে নিয়েছেন দুজনেই। ৪০ জন ক্রিকেটার নিয়ে মিরপুরে শুরু হচ্ছে ক্যাম্প। যা ২৪ জুলাই বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ম্যাচ খেলার মাধ্যমে চূড়ান্ত রূপ পাবে।
তার আগে মিরপুরে প্রেস কনফারেন্স কক্ষে আজ হয়েছে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন। সেখানে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আবু ইনাম মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন আগামী দেড় বছরে তাদের পরিকল্পনা।
এবারের পরিকল্পনায় সাদা বলের সাথে লাল বলেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অন্তত ২৫-৩০ টি ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে চায় বিসিবি। বেশ কয়েকটি সিরিজ প্রায় চুড়ান্তও হয়েছে। যেখানে পাকিস্তান, আফগানিস্তান সহ অন্যান্য দেশে সফর করার কথা টাইগার যুবাদের।
কায়সার বলেন, ‘আমাদের হাতে দেড় বছর সময় আছে। প্রথম এক বছর আমরা লাল বল ও সাদা বল দুটোতেই মনযোগ দিব। হোম ও অ্যাওয়ে যে সিরিজ গুলো আছে আমাদের প্রতিটিতেই একটি করে চারদিনের ম্যাচ আছে। আর নির্বাচনটা যেভাবে হয়েছে…অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় টুর্নামেন্ট সেটা তিনদিনের ম্যাচ ছিল। সারা দেশ ব্যাপী বিভাগীয় দলগুলো অংশ নিয়েছে, ইয়ুথ ক্রিকেট লিগ ছিল সেখানে তিনটা ভার্সনের খেলা হয়েছে। লঙ্গার ভার্সনের সাথে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।’
‘তো আমাদের প্রথম এক বছর জুন (২০২৩) পর্যন্ত দুইটা ভাগ করেছি আমাদের পরিকল্পনাকে। প্রথম এক বছর আমরা ওয়ানডে ও লঙ্গার ভার্সন দুটোতেই মনযোগ দিব। জুন পর্যন্ত বলি, অন্তত তিনটা সিরিজ হবে। এটা খুব সম্ভবত পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বিভিন্ন জায়গায় পরিকল্পনা আছে। আপনাদের টাইম টু টাইম আপডেট দিব। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হল অন্তত ২৫-৩০ টা ম্যাচ খেলোয়াড়দের জন্য আয়োজন করেছি আমরা।’
‘প্রতিটি সিরিজেই জুন পর্যন্ত…একটা করে লঙ্গার ভার্সনের ম্যাচ আছে। জুনের পরে ৬ মাস থাকবে আমাদের হাতে বিশ্বকাপের জন্য। তখন আমরা ফোকাস করবো ওয়ানডের জন্য বেশি করে। এটাই হচ্ছে আমাদের পরিকল্পনা।’