রাজধানীতে রুটিন করে লোডশেডিং শুরু হলেও ঢাকার বাইরে বিদ্যুতের ঘাটতি বেশি। অনেকেই অভ্যস্ত নন অনলাইন তথ্যের সাথে। চলমান এ সংকট মোকাবেলায় চলতি বছরের মধ্যে রামপালসহ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে অন্তত তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার চেষ্টা করছে সরকার। পাশাপাশি এলএনজি সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাতার ও ওমানের সাথে তদবির শুরু করেছে জ্বালানি বিভাগ। বিদ্যুৎ বিভাগের আশা, অক্টোবর নাগাদ কমবে লোডশেডিং।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ঢাকার বাইরে সংকটের পেছনে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের সমস্যাও বড় বিষয়। চলমান পরিস্থিতি অন্তত আড়াই মাস থাকবে বলে ধারণা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের। বললেন, এ বছরের মধ্যেই ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে এক হাজার ছয়শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হতে পারে জাতীয় গ্রিডে। পাশাপাশি রামপালসহ দু’তিনটি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রও উৎপাদনে আনতে চেষ্টা করছে সরকার।
বিদ্যুৎখাতে সংকটের মূল কারণ গ্যাসের অভাব। স্পট মার্কেটে এলএনজি কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই অনুসন্ধানের পাশাপাশি চেষ্টা চলছে ওয়ার্ক ওভার আর উন্নয়ন কূপ খনন করে নিজস্ব গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর। পাশাপাশি, দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে এলএনজি আমদানি বাড়াতেও চলছে নানা তৎপরতা।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেছেন, আমরা আবারও কাতার যাচ্ছি। দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় কবে থেকে তারা আমাদের অতিরিক্ত এক মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহ করতে পারবে সেটি নিশ্চিত করার জন্য। সিলেটে এখন যে কূপ খনন চলছে, সেটি অনুসন্ধানমূলক। আশা করি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ভালো ফলাফল পাবো।
এত সংকটের মাঝে আশাব্যঞ্জক খবর হচ্ছে, বিশ্ববাজারে কমতে শুরু করেছে তেলের দাম।