শেষ ওভার পর্যন্ত চলল লড়াই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। মোহাম্মদ সিরাজ দিলেন ১২ রান। প্রথম এক দিনের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয় এল মাত্র তিন রানে। শিখর ধওয়ানের শতরানও হাতছাড়া হল তিন রানের জন্যই। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।
টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দেড় বছর পর ফের এক দিনের ক্রিকেটে দেখা গেল শুভমান গিলকে। অধিনায়ক ধাওয়ানের সঙ্গে ওপেন করলেন তিনি। ৬৪ রানের মাথায় রান আউট হন শুভমান। ধাওয়ানের সঙ্গে ১১৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। শুভমান ফিরলেও ক্রিজে ছিলেন ধাওয়ান। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন দলকে। পেয়েও যেতে পারতেন শতরান। মাত্র তিন রানের জন্য হাতছাড়া হল সেই মাইলফলক। তিনি যখন আউট হয়ে ফিরছেন, ততক্ষণে ভারতের স্কোরবোর্ডে ২১৩ রান উঠে গিয়েছে। হাতে রয়েছে আট উইকেট। এরপরেও শেষ ১৬.২ ওভারে উঠল ৯৫ রান।
শ্রেয়াস আয়ার তিন নম্বরে নেমে ৫৪ রান করলেও ব্যর্থ সূর্যকুমার যাদব (১৩), সাঞ্জু স্যামসনরা (১২)। দীপক হুডা করেন ২৭ রান। অক্ষর প্যাটেল ২১ রান করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন আলজারি জোসেফ এবং গুডাকেস মোটি। একটি করে উইকেট নেন রোমারিয়ো শেফার্ড এবং আকিল হোসেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৩০৯ রানের লক্ষ্য রাখে ভারত। সেই রান প্রায় তুলেই ফেলেছিল নিকোলাস পুরানের দল। ওপেনার কাইল মেয়ার্স (৭৫), ব্রেন্ডন কিংদের (৫৪) অর্ধশতরান একটা সময় চাপে ফেলে দিয়েছিল ভারতকে। মোহাম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণদের বোলিং আক্রমণকে প্রায় ভোঁতা করে দিয়েছিলেন তারা। অর্ধশতরান না পেলেও তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শামারহ ব্রুকস করেন ৪৬ রান। অধিনায়ক পুরান মাত্র ২৫ রান করেন। মোহাম্মদ সিরাজ, শার্দুল ঠাকুর এবং যুজবেন্দ্র চাহাল দু’টি করে উইকেট নেন।
কিং যখন সাজঘরে ফেরেন, তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২৫২/৬। জয়ের জন্য ৩৩ বলে প্রয়োজন ছিল ৫৭ রান। টি-টোয়েন্টি যুগে যা তুলে ফেলা সম্ভব। সেই কাজটা প্রায় করেও ফেলেছিলেন হোসেন এবং শেফার্ড। দু’জনেই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান। যদিও জয় আসেনি। থেমে যেতে হয় মাত্র তিন রানের জন্য। হোসেন অপরাজিত ৩৩ রানে এবং শেফার্ড অপরাজিত ৩৯ রানে। শেষ ওভারে ১৬ রান তুলতে ব্যর্থ হলেন তারা। ৩০৫ রানেই শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, যাশপ্রিত বুমরা, ঋষভ পান্ত, হার্ডিক পান্ডিয়াদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এই সিরিজে। চোটের কারণে এক দিনের সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে নেই রবীন্দ্র জাদেজাও। একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটার না থাকায় সুযোগ পেয়েছেন তরুণ ক্রিকেটাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে যদিও নায়ক বহু যুদ্ধের সৈনিক ধাওয়ানই। ৯৯ বলে ৯৭ রান করে ম্যাচ সেরা হন তিনি।