জাতিসংঘও যখন সমুদ্রসীমা আইন করেনি, তখন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে সমুদ্রসীমা আইন করেন। অথচ ৭৫ পরবর্তী সময়ে ২১টি বছর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা দেশ শাসন করেছেন, সমুদ্রে যে আমাদের বিশাল অধিকার আছে সেটি তারা জানতো কিনা আমি জানি না, তাদের এ বিষয়ে জ্ঞানও ছিল কিনা তা বলতে পারবো না, কারণ তারা এ নিয়ে কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করেনি। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন ও জাতীয় মৎস্য পদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে রোববার (২৪ জুলাই) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখার সময় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করি। শুধুই তাই নয়, জাতিসংঘের আনক্লজে (জাতিসংঘের সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত আইন) আমরা সইও করে আসি এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার উদ্যোগও আমরা নিয়েছিলাম। কিন্তু ২০০১ এ আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি, তাই কাজটি শেষও করতে পারিনি। এরপর যখন তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসি, তখন আমরা আবারও এ নিয়ে কাজ শুরু করি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজ বিশাল সমুদ্রসীমা আমরা অর্জন করেছি। আমাদের সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ আছে, খনিজ সম্পদসহ অনেক মূল্যবান সম্পদ আছে, যা আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগতে পারে। তাছাড়া আমাদের নদী-নালা, খাল-বিলসহ যে বিশাল জলাধারগুলো, সেগুলোরও ড্রেজিং করার কাজ জাতির পিতা শুরু করেন। শুধু নৌযান চলাচল নয়, মৎস্য আহরণ ও প্রজনন ক্ষেত্র তৈরির লক্ষ্যেও ড্রেজার কিনে ড্রেজিং করা হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় বিপন্নপ্রায় দেশীয় মাছ সংরক্ষণ ও গবেষণায় আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগের কথাও এ সময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বিপন্নপ্রায় অনেক দেশীয় মাছ গবেষণার মাধ্যমে আবারও ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এতে পুষ্টি চাহিদা মেটার পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ বেড়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।