আগে সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) দেখা যেত। এখন কম বয়সি মেয়েদের পিসিওএস বেশি দেখা যায়। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পিসিওএস সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। সেই সঙ্গে জানব, অবিবাহিত নারীর পিল খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কী।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম নিয়ে কথা বলেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
অনেক সময় দেখা যায়, আপনারা গাইনোকোলজিস্ট হিসেবে টিনএজার যারা রয়েছে বা যারা অবিবাহিত, তাদের ক্ষেত্রে আপনারা পিলের মাধ্যমে অনেক ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। অনেক সময় কিন্তু রোগী বা রোগীর আত্মীয়-স্বজন যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা কিন্তু এ বিষয়টাকে খুব একটা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেন না যে সে বিবাহিত না, সে কেন পিল খাবে। এ বিষয়টি যদি বলতেন। আমরা জানি, এটি কুসংস্কার। এ প্রসঙ্গের অবতারণা করলে ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। পিসিওএস, আমরা একটু আগে বলছিলাম, কয়েক ধরনের হরমোন আমাকে দিতে হচ্ছে। পিসিওএস আসলে হরমোনটা যে তৈরি হচ্ছে, সেটাকে রেজিস্ট্যান্স করে দিচ্ছে। আমাদের হরমোন রেজিট্যান্স রিলিফ করার জন্য আমরা দিচ্ছি মেটফরমিন জাতীয় একটি ওষুধ। যেটা তার ইনসুলিনে, হরমোনে রেজিট্যান্সটাকে প্রিভেন্ট করে তাঁর হরমোনটাকে ত্বরান্বিত করছে। কিন্তু অনেক সময় সেটাতে কাজ হচ্ছে না। তখন তার হরমোন ব্যালান্সের জন্য তাকে পিলজাতীয় ওষুধগুলো দিতে হচ্ছে।
ডা. খন্দকার শেহনীলা তাসনিম সুমি আরও বলেন, দর্শকের উদ্দেশে বলছি, এই পিল কিন্তু ওই ধরনের পিল না, যেটা তার জন্মবিরতিকরণে বা পরবর্তীতে তার বেবি না নেওয়ার বা না হওয়ার পেছনে একটা কারণ বহন করবে। এটি এমন ধরনের পিল, যে পিলগুলো তার প্রতি মাসে নিয়মিত মাসিকচক্রটাকে রেগুলার করে নিয়ে… তার পরে যেটা করছে, তার যে অতিরিক্ত হরমোন ছিল, সেই লেভেলটাকে কমানো হচ্ছে। এটা তাকে দীর্ঘমেয়াদি দিচ্ছি না। কখনও তিন মাস, কখনও ছয় মাস বা কখনও এক বছরের মতো দিচ্ছি। কারণ, এতে তার রেগুলার যে মেনস্ট্রেশন ফ্লো হচ্ছে, তার হরমোনটা রেগুলার ঠিক থাকছে। না হলে দেখা যাচ্ছে তার এত বেশি মাত্রায় হয়ে যাবে, তখন তার সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।