পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নেতা জোবায়দুল হক রাসেলের একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যেই বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে কেউ মুখ খোলেননি বলে জানা গেছে।
গত শনিবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর বাউফলে তাঁতোরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপ-নির্বাচন কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে তাঁতেরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় একটি উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
সেখানে জোবায়দুল হক রাসেল ওই বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘ভোট হবে ইভিএম-এ, কে কোথায় ভোট দেবে তা কিন্তু আমাদের কাছে চলেই আসবে। অতএব, ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই, টেনশনেরও কিছু নাই।’ এ সময় ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইব্রাহিম ফারুক পাশে বসা ছিলেন।
জোবায়দুল হক রাসেল পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সন্তান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, ‘ইভিএম নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা সরকারকে যেভাবে বেকায়দায় ফেলতে চায়। সেই বক্তব্য যদি আওয়ামী লীগ নেতারা দেয় তাতে সরকার তথা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়। এতে তৃণমূলে মারাত্মক রকমের প্রভাব পড়ে।’
জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান মোবাইল ফোনে জানান, ‘বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। লিখিত ও ভিডিও বক্তব্য পেয়েছি। এ ব্যপারে দ্রুতই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আগামী সোমবার রাত থেকে বহিরাগত কেউ এলাকায় থাকতে পারবে না। নির্বাচন হবে নির্বাচনের মতো। আমরা আশা করি, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
এ ব্যাপারে জোবায়দুল হক রাসেলের ব্যবহৃত নম্বরে বারবার কল দেয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আমির হোসেন ব্যাপারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি শপথ নেয়ার আগেই ১৯ ফেব্রুয়ারি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। একই ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মিজানুর রহমান ৩ মার্চ মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মারা যান। এ কারণে ওই শূন্য দুটি পদে উপ-নির্বাচন হচ্ছে।
২৭ জুলাই উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এখানে মোট ছয় প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।