জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে নিজ গ্রাম গটিয়ায় বিকেল সাড়ে ৫টায় তার সব শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা নামাজে ইমামতি করেন ফজলে রাব্বী মিয়ার ভাগনা মো. রোকনুজ্জামান মিয়া।
সোমবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে ফজলে রাব্বির মরদেহ নিয়ে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ার হেলেঞ্চা গ্রামের ভেরাকোপা বিলে অবতরণ করে। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার মরদেহ ভরতখালি উচ্চ বিদ্যালয় (ডেপুটি স্পিকার যে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন) মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এমপিসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ওই মাঠে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার পরিচালনা করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আমেরিকার মাইন্ট সাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফজলে রাব্বি মিয়া। সোমবার সকালে তার মরদেহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় পৌঁছে। সকাল ১০টায় ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়ফজলে রাব্বি মিয়া ৯ মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ফজলে রাব্বি মিয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের সাতবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি জাতীয় সংসদের পরপর দুইবারের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।