জবি প্রতিনিধি : বিশ্ববাজারে জ্বালানির তেলের দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশে গত ১৯ জুলাই (মঙ্গলবার) থেকে শিডিউল অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চলছে। একই সাথে, ডিজেল পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত রাখা, সরকারি-বেসরকারি অফিসের কিছু কার্যক্রম ভার্চুয়ালি সম্পন্ন করা এবং সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সরকারের এরুপ সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তাহে একদিন অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হবে।এতে বিদ্যুৎ ছাড়াও ২০-২৫ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী একাডেমিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: ইমদাদুল হক।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড আবুল কালাম মোঃ লুৎফর রহমান জানান, বর্তমানে সারাদেশে সারা বিশ্বজুড়েই ক্রাইসিস চলছে এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় যেকোনোধরনের ত্যাগ করতে হবে। একদিন অনলাইনে ক্লাস থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস অফিস দপ্তর সব বন্ধ থাকবে এতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ কিছুটা হলেও সাশ্রয় হবে।
এর আগে গত ১৯ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে আহ্বান জানান জবি উপাচার্য। ক্লাস পরীক্ষা না থাকলে অযথা যেন লাইট ফ্যান চালিয়ে না রাখা হয়।কিংবা এসির দরকার না হলে যেন এসি ব্যবহার না করা হয়। তিনি আরো বলেন, আমি নিজে সবাইকে বলে দিয়েছি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হল প্রতিটি বিভাগ-প্রশাসনিক দপ্তর সব যায়গা প্রয়োজনীয় কাজের শেষে সঙ্গে সঙ্গে যেন লাইট ফ্যান সব বন্ধ করে দেয়া হয়।